আগে বিচার ও সংস্কার চাই, তারপর জাতীয় নির্বাচন
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণ নির্বাচন চায়, তবে যেনতেন নির্বাচন চায় না। তাই অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে আমাদের প্রধান ৩টি দাবি আগে বিচার ও সংস্কার; তারপর জাতীয় নির্বাচন।
শনিবার (৩১ মে) কিশোরগঞ্জ জেলা সদরের পুরাতন ষ্টেডিয়ামে জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মুজিবুর রহমান দলের এই দাবির কথা দাবি জানান।
তিনি বলেন, গত ২৭ মে সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলাম সুবিচার পেয়েছেন। আমাদের শীর্ষনেতাদের যারা অন্যায়ভাবে হত্যা করেছে এবং ওই দল ও তাদের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সকলের বিচার হওয়া উচিৎ।
অধ্যাপক মুজিবুর বলেন, ‘আমরা সরকারকে বলব আগে বিচার হবে, এরপর সংস্কার এর পরে নির্বাচন হতে হবে।’
তিনি বলেন, আগের মতো যদি নির্বাচন হয়, সেই নির্বাচনের কী দরকার আছে কিনা সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন ওইগুলোতো নির্বাচনই হয় নাই। ২০১৪ সালে হলো বিনা ভোটের নির্বাচন, ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে হলো এবং ২০২৪ সালে নিজেরা নিজেরা ভোট দিয়ে ডামি নির্বাচন করেছে।
মুজিবুর রহমান বলেন, আমরা বিগত ১৭ বছর আইয়ামে জাহিলিয়ার যুগে বসবাস করেছি। হত্যা, নির্যাতন, জুলুম কি না করেছে বিগত আওয়ামী লীগের সরকার। তারা দুর্নীতি করে বিদেশে টাকা পাচার করেছে এবং গুম, খুনসহ হেন অপরাধ নেই যে তারা করেনি। তারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের মিথ্যা অপরাধী সাজিয়ে ফাঁসি দিয়েছে।
কিশোরগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক মো. রমজান আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের পরিচালক ড. মাওলানা মো. ছামিউল হক ফারুকী, ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, সাবেক জেলা আমির অধ্যক্ষ মা ও তৈয়বুজ্জামান, অধ্যাপক মো. আবদুস সালাম, নেত্রকোণা জেলা আমির সাদেকুর রহমান হারিছ, জামালপুর জেলা আমির মাওলানা আবদুস সাত্তার, শেরপুর জেলা আমির মাওলানা হাফিজুর রহমান প্রমুখ।