এপ্রিল নয়, ডিসেম্বরই নির্বাচনের উপযুক্ত সময়
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য এপ্রিল মাস উপযুক্ত নয়, বরং ডিসেম্বর মাসই হবে সবচেয়ে উপযুক্ত সময়।
তিনি বলেন, ‘এপ্রিল মাস বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য উপযুক্ত নয়। সেই সময় তীব্র তাপদাহ থাকে এবং ঝড় ও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকে। রমজানের ঠিক পরেই এপ্রিল মাস আসবে এবং সেই সময়ে পাবলিক পরীক্ষাও নির্ধারিত হয়।’
শনিবার (৭ জুন) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল রোজার মাসে নির্বাচনী প্রচারণা পরিচালনার অসুবিধার কথাও তুলে ধরেন। বলেন, ‘রমজানে প্রচারণা চালানো অত্যন্ত কঠিন।’
তিনি বলেন, তাদের দল মনে করে না যে সরকার এপ্রিল মাসে সতর্কতার সঙ্গে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘গত রাতে আমাদের স্থায়ী কমিটি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছে এবং এরই মধ্যে আমাদের অবস্থান জানিয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি, ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে, যা জাতির জন্য (ভোট দেওয়ার জন্য) সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হবে।’
এর আগে শুক্রবার (৬ জুন) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে সংস্কার, ন্যায়বিচার এবং গণতান্ত্রিক অগ্রগতির প্রতি সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষণা করেন, পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে।’
এই ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় ফখরুল বলেন, ‘আমরা গতকাল (শুক্রবার) আমাদের দলের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছি। আমরা সবসময় ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়ে এসেছি। জনগণের প্রত্যাশাও তাই ছিল। সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।’
এসময় ফখরুলের সঙ্গে মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ এবং এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ বিএনপির সিনিয়র নেতারা ঈদুল আজহা উপলক্ষে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তারা সেখানে ফাতেহা পাঠ করেন এবং জিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম ও আব্দুল হালিম, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল এবং কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরাফত আলী সাপু, রফিকুল ইসলাম, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, মীর নেওয়াজ আলী এবং আমিনুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
২০০৮ সালে কারাবন্দী হওয়ার আগে প্রতি ঈদে জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ঐতিহ্য ছিল। তার অনুপস্থিতিতেও দলের সিনিয়র নেতারা এই ঐতিহ্যকে সম্মান জানিয়ে আসছেন।
দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সকলকে ঈদ মোবারক জানাই।’