ঐকমত্য কমিশন ‘পক্ষপাতদুষ্ট’, অভিযোগ এনসিপি ও গণ অধিকার পরিষদের
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের অনকূলে একের পর এক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। পাশাপাশি, নামসর্বস্ব দলকে আমন্ত্রণ জানিয়ে আলোচনা প্রশ্নবিদ্ধ করছে বলে অভিযোগ তুলেছে গণঅধিকার পরিষদ।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফায় মঙ্গলবারের (১৭ জুন) আলোচনা প্রসঙ্গে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, ‘সংস্কার প্রশ্নে বিএনপির প্রস্তাবের দিকেই ঝুঁকে গেছে কমিশন। একটি দলকে সুবিধা দিতে গিয়ে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে কমিশন।’
সংস্কার প্রশ্নে এতদিন অধ্যাদেশ জারি বা গণভোটের মতো ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করা হলেও এখন নির্বাচন এবং নির্বাচন পরবর্তী সংস্কারের দিকেই জোর দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন এ নেতা।
আদীব বলেন, ‘এমন অনেক দলকে আলোচনার জন্য ডাকা হয়েছে তাদের সাংগঠনিক কাঠামো ও নিবন্ধন নেই। এসব দল আলোচনায় এসেছে নির্দিষ্ট একটি দলকে সুবিধা দিতে। একটি নির্দিষ্ট দল যা বলছে, তাতেই সায় দিচ্ছে এ দলগুলো। আবার ওই দলের বিপক্ষে কেউ কথা বললে রীতিমতো হট্টগোল করছে তারা।’
জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান রাজনৈতিক দলের অবদানে সফল হয়নি, সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে হয়েছে উল্লেখ করে আদীব বলেন, ‘জুলাই সনদের জন্য শুধু রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করলে হবে না। পেশাজীবী সংগঠনের অংশগ্রহণ এবং সাধারণ মানুষের মতামতের ওপর ভিত্তি করে জুলাই সনদ করতে হবে।’
সংস্কার প্রক্রিয়ায় গণভোটের ওপর জোর দিয়ে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, ‘৯০ এর সময়েও অনেকেই অনেক সংস্কারে একমত হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। সংস্কার চাইলে গণভোটের বিকল্প নেই।’
ভূঁইফোঁড় রাজনৈতিক দলের আলোচনায় অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে নুর বলেন, ‘কোন প্রক্রিয়ায় কমিশন এদের ডাকছে আমার জানা নেই। অনেক নামসর্বস্ব দলকেও আলোচনার জন্য ডাকা হয়েছে। এতে করে আলোচনার পরিবেশ প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।’
এতদিন নির্বাচনের কথা বললেও এখন কেন সবার আগে সংস্কার চায় গণপরিষদ এমন প্রশ্নের জবাবে নুর বলেন, ‘৫ আগস্টের পর পেশিশক্তির কোনো পরিবর্তন হয়নি। নিজ এলাকায় গিয়ে বুঝেছি এখনো নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। এজন্য গণভোটের মাধ্যমে সংস্কার চাচ্ছি।’
এনসিপির মতো গণপরিষদও জুলাই সনদে শুধু রাজনৈতিক দলের মতামত না, সবার অংশগ্রহণের ওপর জোর দিয়েছে।