দলের কেউ অপরাধ করলে কঠোর ব্যবস্থা: রিজভী

বিএনপি অনৈতিক ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি বজায় রেখেছে বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি সতর্ক করে বলেন, বিএনপির কোনো সদস্যও যদি অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত থাকে— তবে তাকেও ছাড় দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, ‘যে কেউ যেকোনো ধরণের অবৈধ, অনৈতিক বা সহিংস কার্যকলাপে জড়িত থাকে—তবে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। যেকোনো ঘটনা ঘটার পর আমরা তাৎক্ষণিকভাবে তদন্ত করতে এবং সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে দ্বিধা করি না। কাল ক্ষেপণ না করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

শুক্রবার (৪ জুলাই) বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, দলের ভেতরে, প্রতিবেশীদের সঙ্গে বা অন্য কোনো ব্যক্তির সঙ্গে যাতে আর কেউ সহিংস আচরণ করার সাহস না করে। ‘২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে আমরা যখনই অভিযোগ পেয়েছি, তখনই আমরা এই ধরণের সমস্ত ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিয়েছি। তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।’

তিনি বলেন, দলের নামে কী ঘটছে এবং কী করা হচ্ছে, তা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিয়মিতই পর্যবেক্ষণ করছেন।

রিজভী বলেন, ‘দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং অন্যায় কাজে লিপ্ত থাকার জন্য আমরা বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনের চার থেকে পাঁচ হাজার নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি।’

তিনি বলেন, দল এবং এর সহযোগী সংগঠনের কোনো নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উঠলেই তারা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিচ্ছেন। ‘এক্ষেত্রে, বিএনপি এবং এর নেতৃত্ব আপসহীন। তারেক রহমান জিরো টলারেন্স নীতিতে এটি করছেন।’

রিজভী বলেন, যে কেউ অপরাধ করলে—সে দলের নেতা হোক বা সদস্য—তাকে শাস্তি ভোগ করতে হবে। ‘দলের মধ্যে কেউ যাতে কোনো সন্ত্রাসী বা বেআইনি কার্যকলাপে জড়িত না হয়—তা নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’

গণতান্ত্রিক নীতির প্রতি দলের স্থায়ী অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে রিজভী বলেন, বিএনপি গত ১৬ বছর ধরে গণতন্ত্রের জন্য ক্রমাগত সংগ্রাম করে আসছে। ‘গণতন্ত্রকে কবর দেওয়া শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে বিএনপি তার আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে। তীব্র দমন-পীড়ন সত্ত্বেও আমাদের দল কখনও তা থেকে পিছু হটেনি।’

অবিলম্বে, অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনের জন্য দলের দাবি পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘কেবলমাত্র একটি সত্যিকারের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনই বিএনপির জনপ্রিয়তা প্রকাশ করবে।’