ভোটের মার্কা শাপলা নয়, ইসির নীতিগত সিদ্ধান্ত

দুটি রাজনৈতিক দলের দলীয় প্রতীক হিসেবে দাবির মধ্যে নির্বাচনি প্রতীক হিসেবে জাতীয় প্রতীক ‘শাপলাকে’ ব্যবহার না করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার (৯ জুলাই) নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ একথা বলেন।

নাগরিক ঐক্য দলীয় প্রতীক হিসেবে কেটলির পরিবর্তে শাপলা দাবি করেছে। একই সঙ্গে নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টিও (এনসিপি) দলীয় প্রতীক হিসেবে শাপলা চেয়ে নিবন্ধনের সময় আবেদন করেছে।

শাপলা জাতীয় প্রতীক হওয়ায় কোনো রাজনৈতিক দলের জন্য নির্বাচনি প্রতীক হিসেবে তা বরাদ্দ নিয়ে বিতর্কের মধ্যে এ সিদ্ধান্ত নিল এএমএম নাসির উদ্দিন কমিশন।

ইসি শাপলাকে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালার তফসিলভুক্ত না করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

নির্বাচন কমিশনার মাছউদ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “নতুন প্রস্তাবিত প্রতীক তালিকায় শাপলা রাখা হচ্ছে না। নির্বাচনি প্রতীক হিসেবে আমাদের সিডিউলভুক্ত হচ্ছে না। আমরা নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এবার আগের ৬৯টি থেকে বাড়িয়ে অন্তত ১১৫টি প্রতীক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর জন্য বরাদ্দ করার কথা ভাবছে ইসি।

এ লক্ষ্যে নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালায় প্রতীক তালিকার তফসিল সংশোধন করে ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে শিগগির।

শাপলাকে ভোটের মার্কা করার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মাছউদ বলেন, জাতীয় প্রতীক শাপলা ও জাতীয় পতাকার বিষয়ে সুস্পষ্ট আইনে বলা রয়েছে।

“সংবিধানে জাতীয় প্রতীক ও জাতীয় পতাকার কথা বলা হয়েছে। এ দুটোর মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখার জন্য আইন করা হয়েছে; একটা বিধিমালা করা হয়েছে। কোনো ব্যাপারে জাতীয় ফুল, জাতীয় পাখির ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট নেই।”

প্রস্তাবিত নতুন প্রতীক তালিকার বিষয়টি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি শাপলা প্রতীক তফসিলে থাকবে না। জাতীয় প্রতীকের কারণেই মূলত এ সিদ্ধান্ত।”