নির্বাচন নিয়ে জনগণের মনে শঙ্কা রয়ে গেছে

আগামী জাতীয় নির্বাচন শেষে ফলাফল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত জনগণের মনে ভোটের ব্যাপারে সংশয় থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

শুক্রবার (১৫ আগস্ট) নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘শুনছি নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে হবে, কিন্তু ভোট গণনা ও ফলাফল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত জনগণের মনে নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা থাকবে।

তিনি বলেন, যত রক্ত ঝরুক, এখনো গণতন্ত্র হাতের নাগালের বাইরে।

বিএনপি স্থায়ী কমিটির এই নেতা সতর্ক করেছেন, নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে। এজন্য আমাদের সতর্ক, শান্ত ও ধৈর্যশীল হতে হবে।

তিনি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, কারও পাতানো ফাঁদে পা দিয়ে গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, খালেদা জিয়া জাতির অভিভাবক হয়েছেন। তিনি শুধু বিএনপির চেয়ারপারসন নন, লড়ে যাচ্ছেন গণতন্ত্রের জন্য।

তিনি আরও বলেন, বেগম জিয়া নিজে কখনো জন্মদিন পালন করতেন না, আমরাই করতাম। মানুষ যখন তাকে সমালোচনা করত, খালেদা কখনো জন্মদিন উদযাপনের পক্ষে ছিলেন না। তিনি সবসময় তার সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গলের জন্য দোয়া কামনা করতেন।

অনুষ্ঠানে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, জনপ্রিয়তার কারণে খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ।

তিনি দলের নেতাকর্মীদের জনগণের বিশ্বাস অর্জনে কাজ করার আহ্বান জানান। যদি আমরা সত্যিই দলীয় চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে ভালোবাসি, যদি আমরা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে ভালোবাসি, এবং যদি আমরা তারেক রহমানকে ভালোবাসি, তবে আমাদের জনগণের মন জয়ের জন্য চেষ্টা করতে হবে।

নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বকশাল তুলে গণতন্ত্র ফিরিয়েছিলেন, খালেদা জিয়া সামরিক স্বৈরশাসনের কবর থেকে গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধার করেছেন এবং তারেক রহমানের হাত ধরে দেশে আবারো গণতন্ত্রের সূচনা হবে।

খালেদা জিয়া ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট দিনাজপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং ১৯৯১ সালে বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হন।