অজুহাতের সুযোগ নেই
চলমান বিশ্বকাপে যেসব মাঠে খেলা হচ্ছে তার বেশিরভাগই সাম্প্রতিক সময়ে বানানো। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেডিয়ামগুলো। এমনকি অনেকগুলো মাঠে ব্যবহার করা হয়েছে ড্রপ ইন পিচ। এগুলোতে আবার আউট ফিল্ডের অবস্থাও খুব একটা ভালো না। সবমিলিয়ে এসব উইকেটে রান করতে রীতিমতো সংগ্রাম করতে হচ্ছে ব্যাটারদের।
উইকেট যেমনই হোক নিজেদের সেরাটা দিতে চান নাজমুল হোসেন শান্ত। পারফরম্যান্সেই নজর তার, অজুহাত হিসেবে উইকেটের দায় দিতে নারাজ বাংলাদেশ অধিনায়ক। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেন, ' আসলে আমরা খেলাটা যখন শুরু করব তখন বুঝতে পারব কত রানের উইকেট বা কত রান আমরা ডিফেন্ড করতে পারব, এটা (আগে থেকে) বলা মুশকিল। সব মিলিয়ে আমার কাছে মনে হয় নতুন বলে ব্যাটিং করাটা চ্যালেঞ্জিং প্রত্যেকটা দলের জন্য। তবে অজুহাত দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।'
'আমার মনে হয় সবাই ভালো অবস্থানে আছে (মানসিকভাবে)। প্র্যাক্টিসে বা কীভাবে খেলতে চায় ম্যাচটা এগুলো নিয়ে মানসিকভাবে সবাই ভালো অবস্থানে আছে এটা বলতে পারি। কালকে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ। এটা সত্য সবাই একটু হলেও নার্ভাস থাকবে। আমরা কীভাবে এটা হ্যান্ডেল করছি এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমি আশা করবো যে... এখানে অনেক অভিজ্ঞ প্লেয়ার আছে যাদের আগের বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা আছে। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে বলে আশাকরি।'-যোগ করেন তিনি।
ম্যাচে নিজেদের লক্ষ্য নিয়ে শান্ত বলেন, 'এই কন্ডিশনে কীভাবে আমরা একটি ভালো শুরু পেতে পারি এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যদি আমরা ব্যাটিং করি। যদি বোলিং করি বোলারদের লক্ষ্য থাকবে আমরা কীভাবে দ্রুত উইকেট নিতে পারছি। কালকে যখন খেলাটা শুরু হবে এগুলো দ্রুত মানিয়ে নিতে হবে। আমার মনে হয় না এই উইকেটটা দিয়ে চিন্তার কোনো কারণ আছে। যার যে সামর্থ্য আছে সেই সামর্থ্য কাজে লাগানো খুব গুরুত্বপূর্ণ।'
সবাই নিজেদের জায়গা থেকে উন্নতির চেষ্ট করছে। অনুশীলনেও যথেষ্ট সময় দিচ্ছে বলে মনে করেন শান্ত। তিনি বলেন, 'অনুশীলন দেখে বা নেটে ব্যাটিং করেছি সবাই তাতে মনে হয়েছে আগের থেকে ভালো অবস্থায় আছে। আগে কী হয়েছে এটা চিন্তা না করে কালকে একটা নতুন দিন। কালকে আমরা কেউই জানি না কে ভালো খেলবে, কে খারাপ খেলবে। নতুন দিনটায় আমার মনে হয় যে থিতু হবে, ভালো শুরু করবে তার খুব বড় দায়িত্ব খেলাটা কীভাবে শেষ করছে। আশা করছি যেভাবে আমাদের ব্যাটাররা প্রস্তুতি নিয়েছে ওইটা যদি বাস্তবায়ন করতে পারে তাহলে ভালো ম্যাচ হবে।’