বাংলাদেশের স্বপ্ন গুঁড়িয়ে রেকর্ড গড়া জয় দ. আফ্রিকার

জয়ের দারুণ এক মঞ্চই তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশের জন্য। নিউ ইয়র্কের নীলাকাশের নিচে ঝলমলে বোলিং নৈপুণ্য মেলে ধরেন তানজিম হাসান সাকিব, তাসকিন আহমেদরা। কিন্তু ব্যাটাররা পারল না ১১৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে। দক্ষিণ আফ্রিকা অসাধারণ বোলিং নৈপুণ্য দেখিয়ে তুলে নিল রেকর্ড গড়া এক জয়।

নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে রোমাঞ্চে ঠাসা ম্যাচে বাংলাদেশকে ৪ রানে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। টস জিতে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১১৩ রান করতে পারে দলটি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে এর আগে এত কম রান নিয়ে জয়ের রেকর্ড ছিল না। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা লিখেছে ইতিহাস। বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে ১০৯ রানের বেশি করতে দেয়নি।

অথচ লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ধীর হলেও শেষ ৫ ওভারে ৬ উইকেট হাতে নিয়ে ৩১ রান প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের। তাওহিদ হৃদয় ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ উইকেটে থাকায় আশায় বুক বেঁধেছিলেন সমর্থকেরা। কিন্তু প্রোটিয়া বোলাররা তা হতে দিলে তো!

বিশেষভাবে বলতে হবে কেশভ মহারাজের কথা। শেষ ওভারে দুই উইকেট তুলে নিয়ে দেশকে জয় উপহার দিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ মেলাতে পারেনি ৬ বলে ১১ রানের সমীকরণ। বিশেষভাবে বলতে হবে প্রোটিয়া অধিনায়ক আইডেন মারকরামের কথাও। ২০তম ওভারের পঞ্চম বলে যিনি লং অনে মাহমুদউল্লাহর ক্যাচ নেন। ক্যাচটা নিতে না পারলে নিশ্চিতভাবেই তা ছক্কা হতো। আর বাংলাদেশও তখন ম্যাচ জিতে নিত।

২৭ বলে ২০ রান করে থামতে হয় মাহমুদউল্লাহকে। সর্বোচ্চ ৩৪ বলে ৩৭ রান করেন তাওহিদ হৃদয়। এ ছাড়া বাংলাদেশের পক্ষে দুই অঙ্কে যেতে পেরেছেন কেবল শান্ত। ২৩ বলে ১৪ রান করেন তিনি।

প্রোটিয়াদের পক্ষে মহারাজ সর্বাধিক ৩টি এবং কাগিজো রাবাদা ও আনরিক নরকিয়া নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।

নিউ ইয়র্কের নাসাউ স্টেডিয়ামের উইকেট নিয়ে শুরু থেকেই অনেক বিতর্ক হচ্ছে। এ মাঠে এখন পর্যন্ত হওয়া সবগুলো ম্যাচই ছিল লো-স্কোরিং। আগের দিন যেমন ভারত ১১৯ রানের পুঁজি নিয়েও জিতেছে।

এমন মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা আগে ব্যাট করার চ্যালেঞ্জ নেয়। যদিও ২০ ওভার খেলেছে তারা। কিন্তু ৬ উইকেটে ১১৩ রানের বেশি করতে পারেনি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পুরো ২০ ওভার ব্যাটিং করে প্রোটিয়াদের এটিই সবচেয়ে কম রান।

পাওয়ার প্লেতে ২৫ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। পঞ্চম উইকেটে ৭৯ রান যোগ করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে একশ পার করান হেইনরিখ ক্লাসেন ও ডেভিড মিলার। ক্লসেন ৪৪ বলে ৪৬ ও মিলার করেন ৩৮ বলে ২৯ রান।

বাংলাদেশের পক্ষে ১৮ রানে সর্বাধিক ৩ উইকেট নেন তানজিম হাসান সাকিব। তাসকিন আহমেদ ১৯ খরচায় ২ উইকেট নেন।