ওই ৪ রান পেলে ম্যাচের চিত্র ভিন্ন হতে পারত: হৃদয়

তাওহিদ হৃদয়।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪ রানে হারের পর ম্যাচে আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন তাওহিদ হৃদয়। আম্পায়ারদের বেশ কিছু সিদ্ধান্ত তাদের বিপক্ষে গেছে বলে মনে করেন এই ব্যাটার।

নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ সময় সোমবার রাতে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে হেরে যায় টাইগাররা। লো-স্কোরিং ম্যাচে ১১৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৭ উইকেটে ১০৯ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।

বাংলাদেশের ব্যাটিং ইনিংসের সময় আম্পায়ারদের দেওয়া দুটি সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে খুব। একটি ১৭তম ওভারের ঘটনা। মাহমুদউল্লাহর পায়ে লেগে বল বাউন্ডারি পেরিয়ে যায়। কিন্তু আম্পায়ার আঙুল তুলে দিয়েছিলেন। রিভিউয়ে ওই সিদ্ধান্ত পাল্টে যায়। কিন্তু লেগ বাই থেকে প্রাপ্য চার রান আর পাওয়া হয়নি বাংলাদেশের। শেষ পর্যন্ত ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছে ওই ৪ রানেই।

আরেকটি হচ্ছে তাওহিদ হৃদয়ের আউটের সিদ্ধান্ত। ১৮তম ওভারে রাবাদার বল হৃদয়ের প্যাডে লাগলে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। হৃদয় রিভিউ নেন। দেখা যায়, লেগ স্টাম্পের বেলস ছুঁয়ে যেত বল। অর্থাৎ মাঠের আম্পায়ার ‘নট আউট’ দিলেও কোনো ভুল হতো না। কিন্তু যেহেতু আম্পায়ার্স কল, তাই সিদ্ধান্ত হৃদয়ের বিপক্ষেই যায়।

ম্যাচ শেষে সংবাদসম্মেলনে এ সব নিয়ে কথা বলেন হৃদয়। তরুণ এই ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহর সময়ের ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে বলেন, ‘সত্যি বলতে, সেটি ভালো সিদ্ধান্ত ছিল না। আঁট সাট ম্যাচে আমাদের জন্য ভালো কিছু ছিল না সেটি। ওই চারটি রান পেলে ম্যাচের চিত্র ভিন্ন হতে পারত।’

হৃদয় আরও বলেন, ‘আমি মনে করি যে, আম্পায়ার কল দিয়েছে, আম্পায়ার কল দিতেই পারে। ওরাও মানুষ, ভুল হতেই পারে। কিন্তু আরও দু-একটি ওয়াইড ছিল, যেগুলো ওয়াইড দেয়নি। এখানে এরকম ভেন্যুতে খেলা, যেখানে রান হচ্ছে না, লো-স্কোরিং ম্যাচ হচ্ছে, সেই জায়গায় একটি-দুটি রানও অনেক বড় ব্যাপার। তো আমি মনে করি, ওই চারটি রান বা দুটি ওয়াইড, খুব ক্লোজ কল ছিল।’

নিজের আউট নিয়ে হৃদয়ের দাবি, ‘এমনকি আমার আউটও আম্পায়ার্স কল ছিল। আমার কাছে মনে হয় এই জায়গাগুলোয় উন্নতির সুযোগ আছে। আইসিসি যে নিয়ম করেছে, এটায় তো আমাদের হাত নেই…।’