সাকিব-রিশাদে বাংলাদেশের দারুণ জয়
ফর্মহীনতার মধ্যে থাকা সাকিব আল হাসান ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন মোক্ষম সময়ে। ষাট পেরোনো ইনিংসে দলকে এনে দিলেন চ্যালেঞ্জিং পুঁজি। যা তাড়া করতে নেমে নেদারল্যান্ডস যখন ভয় ধরাচ্ছিল, তখন বল হাতে আরও একবার ঝলক দেখালেন রিশাদ হোসেন। এই দুইয়ের নৈপুণ্যে বাংলাদেশ পেল দারুণ এক জয়। যে জয়ে তারা সুপার এইটের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল।
কিংসটাউনে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ডাচদের ২৫ রানে হারিয়েছে টাইগাররা। বাংলাদেশের দেওয়া ১৬০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৩৪ রান করতে পেরেছে ডাচরা।
তিন ম্যাচে ২ জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘ডি’ গ্রুপে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের সবগুলো জিতে এই গ্রুপ থেকে সবার আগে সুপার এইট নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে আগামী সোমবার নেপালের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে জিতলে তো বটেই, অন্য ম্যাচের ফল পক্ষে থাকলে হারলেও সুপার এইটে খেলবে বাংলাদেশ।
টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ ২৩ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে। তানজিদ তামিমকে সঙ্গে নিয়ে সেই চাপ সামালে দলকে সামনে দিকে এগিয়ে নেন সাকিব। তৃতীয় উইকেটে দুজনে যোগ করেন ৩২ বলে ৪৮ রান।
তানজিদ ২৬ বলে ৩৫ করে ফিরলেও সাকিব তুলে নেন ফিফটি। প্রায় ২১ মাস ও ১৯ ইনিংস পর ফিফটি পাওয়া এই বাঁহাতি ৪৬ বলে ৯ চারে ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া মাহমুদউল্লাহ ২১ বলে ২৫ ও জাকের আলি ৭ বলে ১৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। তাতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫৯ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।
জবাবে প্রথম ১০ ওভারে ৩ উইকেটে ৭৪ রান করা ডাচরা ভালো কিছুরই ইঙ্গিত দিচ্ছিল। কিন্তু ১৫তম ওভারে জোড়া শিকার ধরে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন রিশাদ। ডাচদের পক্ষে সর্বোচ্চ ২২ বলে ৩৩ রান করা সিব্রান্ড এঙ্গেলব্রেখটকে ফেরান রিশাদই। এর সঙ্গে নেন বাস ডি লিড ও লোগান ফন বিকের উইকেট।
রিশাদের ৩ উইকেট ছাড়াও তাসকিন আহমেদ ২ শিকার ধরেন। একটি করে উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান, তানজিম সাকিব ও মাহমুদউল্লাহ। বল হাতে উইকেটশূন্য থাকলেও সাকিব হয়েছেন ম্যাচসেরা।