সান্ত্বনার জয়ে বিশ্বকাপ শেষ পাকিস্তানের

সান্ত্বনার জয়ে বিশ্বকাপ শেষ পাকিস্তানের

অন্য সবার কথা বাদ দিন, খোদ পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা কি ঘুণাক্ষরে ভেবেছিলেন এই পরিণতি দেখতে হবে? কোথায় শিরোপার হিসাব মেলানো নিয়ে আলোচনা হবে, তা নয়, সেমিফাইনালের জটিল হিসাব নিয়ে ছিল নাড়ানাড়ি। যে পাকিস্তানের বিশ্বজয় নিয়ে কত কথা-বার্তা, সেই তাদের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটিই কিনা হয়ে পড়ে নিয়মরক্ষার! আয়ার‌ল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ম্যাচে সান্ত্বনার জয় নিয়ে বাড়ি ফিরছে বাবর আজমের দল।

রোববার ফ্লোরিডার লডারহিলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১০৬ রান করে আয়ারল্যান্ড। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে নোঙড় করেছে মেন ইন গ্রিনরা।

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হার দিয়ে শুরু। এরপর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষেও একই পরিণতি। এই দুই হারই আসলে কাল হয়ে দাঁড়ায় পাকিস্তানের সুপার এইটে ওঠার পথে। পরের দুই ম্যাচ জিতেও তাই আর লাভ হয়নি তাদের। বিশ্বকাপের আগে ফের অধিনায়কত্ব ফিরে পাওয়া বাবর নিশ্চয় এমন টুর্নামেন্ট আশা করেননি!

এদিন লক্ষ্য তাড়ায় ভালো শুরু করে পাকিস্তান। দলটির হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন সাইয়ুম আইয়ুব ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। শুরু থেকে দেখেশুনে খেলে দলীয় রানের চাকা সচল রাখেন তারা।

ইনিংসে পঞ্চম ওভারে এ জুটিতে আঘাত হানেন মার্ক আদাইর। তার বলে উইকেটের পেছনে টাকারের গ্লাভসে ধরা পড়েন আইয়ুব (১৭)। পরের ওভারে সাজঘরের পথ ধরেন রিজওয়ান (১৭)। তার উইকেট নিয়েছে ম্যাককার্থি। 

ফখর জামানকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন বাবর আজম। তবে তাতে সফল হতে দেয়নি আইরিশরা। ফখরকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন আদাইর।

এরপর আসা-যাওয়ার মিছিলে নাম তোলেন উসমান খান (২) ও শাদাব খান (০)। তাদের দুজনের উইকেট নিয়েছেন ম্যাককার্থি।

দলের নির্ভরশীল ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ব্যাট হাতে লড়াই করে গেছেন বাবর আজম। এসময় তাকে টেলএন্ডারে দুর্দান্ত সঙ্গ দেন আব্বাস আফ্রিদি (১৭)। তার বিদায়ের পর ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন শাহিন আফ্রিদি। এই দুই ব্যাটারও যদি ব্যর্থ হতেন তাহলে ফল আইরিশদের পক্ষেও যেতে পারত।

তবে শেষ পর্যন্ত সান্ত্বনার জয়ে নিয়ে মাঠ ছেড়েছে পাকিস্তান। আয়ারল্যান্ডের হয়ে তিনটি উইকেট শিকার করেন ব্যারি ম্যাককার্থি। এছাড়া দুটি উইকেট নেন কার্টিস ক্যাম্ফার।

এর আগে টস জিতে আয়ারল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় পাকিস্তান। দলটির হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামনে নামেন অ্যান্ড্রু বালবির্নি ও পল স্টার্লিং। কিছু বুঝে ওঠার আগেই বালবির্নিকে বোল্ড করেন আফ্রিদি। একই ওভারে লরকান টাকারের (২) উইকেট শিকার করেন তিনি।

এরপরেই আইরিশ দলপতি স্টার্লিংয়ের (১) উইকেট তুলে নেন মোহাম্মদ আমির। উইকেটে এসে ৬ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে ব্যর্থ হয়েছেন হ্যারি টেক্টর। তাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে (এলবিডব্লিউ) ফেলেন আফ্রিদি।

ক্রিজে এসে ভয় ধরান জর্জ ডকরেল। তবে তাকেও উইকেট স্থায়ী হতে দেয়নি পাকিস্তানিরা। এই ব্যাটারকে কট অ্যান্ড বোল্ড করেছেন আমির।

পাওয়ার প্লে-তে পাঁচ উইকেট হারিয়ে খেই হারায় আইরিশরা। দলের বিপর্যয়ে ব্যাট হাতে লড়াই করেন গ্যারেথ ডেলানি। তবে ১৯ বলে ৩১ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন তিনিও।

শেষ মুহূর্তে জস লিটলের ছোট্ট ক্যামিওতে আয়ারল্যান্ডের ইনিংস থামে ১০৬ রানে। পাকিস্তানের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন শাহিন আফ্রিদি ও ইমাদ ওয়াসিম।