স্লোভাকিয়ার কাছে বেলজিয়ামের অবিশ্বাস্য হার
শেষ বাশি বাজতেই স্লোভাকিয়ার খেলোয়াড় আর কোচিং স্টাফের সবাই ছুটে এলেন মাঠে। দেখে মনে হতে পারে, কোনো শিরোপা বুঝি জিতল দলটি। কিন্তু মূলত স্লোভাকিয়া জিতেছে আসরের গ্রুপপর্বের ম্যাচ। র্যাঙ্কিংয়ে ৪৮ নম্বরে থাকা স্লোভাকরা বেলজিয়ামকে হারিয়েছে ১-০ গোলে।
নিজেদের সোনালী প্রজন্মের শেষ সময়ের তারকাদের নিয়ে এবারের ইউরো মাতাতে এসেছে বেলজিয়াম। আছে র্যাঙ্কিংয়ে ৩য় স্থানে। কিন্তু মাঠের খেলায় হতাশই হতে হলো ডি ব্রুইনা-লুকাকুদের। একের পর এক মিস আর দুই গোল বাতিলের সুবাদে বেলজিয়ামের ইউরো শুরু হলো হার দিয়ে।
ম্যাচের ৩য় মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত বেলজিয়াম। গোলমুখে রোমেলু লুকাকুর অবিশ্বাস্য মিসে গোল পাওয়া হয়নি তাদের। ৬ষ্ঠ মিনিটের মাথায় আবারও লুকাকুর মিস। ডানপ্রান্ত থেকে জেরেমি ডোকু আর বামপ্রান্তে লিসান্দ্রো ট্রসার্ডের বাড়ানো সব বল মিস করেন বেলজিয়ান নাম্বার টেন।
এমন মিসের শাস্তি দিতেই কিনা ৭ম মিনিটে গোল পায় স্লোভাকিয়া। প্রতিপক্ষ অর্ধে প্রেসিং করে বল দখলে নিয়েছিলেন কুচকা। শট নিয়েছিলেন গোলমুখে। যদিও তা ঠেকিয়ে দেন বেলজিয়াম গোলরক্ষক কাস্তিলস। ফিরতি বলে গোল করেন ইভান শ্রাঞ্জ।
১-০ গোলে লিডের পর রক্ষণেই মনোযোগী হয় স্লোভাকিয়া। বিপরীতে ডোকু-ট্রসার্ড এবং ডি ব্রুইনা শাণাতে থাকেন আক্রমণ। যদিও তাতে কাজের কাজ হয়নি। ৪১ মিনিটে ফের সুযোগ মিস করেন লুকাকু।
বিরতির পর লুকাকুই গোল করেছিলেন। ৫৫ মিনিটে ট্রসার্ডের পাস থেকে গোল করেন ইন্টার মিলানের এই স্ট্রাইকার। কিন্তু, অফসাইডের কারণে বাতিল হয় তা। ৬৩ মিনিটে আবার হতাশ হয় বেলজিয়াম। বাকায়োকোর শট গোললাইন থেকে ফেরান স্লোভাকিয়ার হ্যাঙ্কো।
৮৬ মিনিটে ফের গোল পায় বেলজিয়াম। ডিবাস্টের লং বল রিসিভ করে ডিবক্সে চলে যান ওপেন্দা। সেখান থেকে বল পেয়ে গোল করেন লুকাকু। তবে ভিএআর চেকে দেখা যায়, বল রিসিভের সময় হ্যান্ডবল করেছিলেন ওপেন্দা। তাতেই বাতিল হয় বেলজিয়ামের আরেকটি গোল।
শেষ পর্যন্ত আর গোলই পাওয়া হয়নি তাদের। ১-০ গোলের হার দিয়ে ইউরোর প্রথম অঘটনের শিকার হলো বেলজিয়াম।