ভক্তের ওপর চড়াও হলেন রউফ
এবারের টি-২০ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে পাকিস্তান। স্বাভাবিকভাবেই দুঃস্বপ্নের বিশ্বকাপটি ভুলে যেতে চাইবে তারা। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচিত হচ্ছেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। এরই মধ্যে মেজাজ হারিয়ে ভক্তকে মারতে গেলেন দেশটির তারকা পেসার হারিস রউফ।
বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সুপার ওভারে হেরে বড় ধাক্কা খায় পাকিস্তান। সেই ধাক্কার রেশ কাটতে না কাটতেই পরের ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে জিততে জিততে ৬ রানে হেরে বসে তারা। এতে করে সুপার এইটে যাওয়াটা বেশ কঠিন হয়ে যায় পাকিস্তানের সামনে।
বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয়ায় এরই মধ্যে পাকিস্তানের বেশিরভাগ ক্রিকেটার নিজ দেশে ফিরে গেছেন। অধিনায়ক বাবর আজমসহ বেশকিছু ক্রিকেটার এখন রয়ে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রে। এরই মাঝে ঘটেছে অনাকাঙ্ক্ষিত এক ঘটনার জন্ম দিয়েছেন পাকিস্তানের পেসার হারিস রউফ। যার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, হারিস রউফ ও তার স্ত্রী মুজনা মাসুদ মালিকের সঙ্গে ফুটপাত ধরে হাঁটছিলেন। সেখান থেকে কিছুটা দূর দিয়ে যাচ্ছিলেন কয়েকজন ক্রিকেট সমর্থক। হঠাৎ হারিস দাঁড়িয়ে পড়ে দূরে থাকা এক ভক্তের সঙ্গে কিছু একটা নিয়ে কথা বলতে থাকেন। একপর্যায়ে মারমুখী হয়ে ওই ভক্তের দিকে তেড়ে যান এই পাক পেসার।
এ সময় স্ত্রী মুজনা তাকে থামানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। হারিস স্ত্রীর হাত ছাড়িয়ে মারমুখী হয়ে এগুতে থাকেন ওই ভক্তের দিকে। পরে আশপাশের কয়েকজন ব্যক্তি হারিসকে থামাতে চেষ্টা করেন, শেষ পর্যন্ত শান্ত হন হারিস। কি নিয়ে মূলত দু’পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল জানা যায়নি, কেননা ভিডিওতে তাদের কথা ছিল অস্পষ্ট। ওই ঘটনার পর উভয়ই ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এদিকে এক ভক্ত ওই ভিডিও শেয়ার করে লিখেছেন, সমর্থকদের উচিৎ আচরণ ঠিক রাখা, বিশেষ করে যখন ক্রিকেটাররা পরিবারের সঙ্গে থাকেন। তাদেরও ব্যক্তিগত জীবন আছে। বিরক্ত কিংবা উসকানিমূলক মন্তব্য করা ঠিক নয়, বিরক্তিকরণ আচরণ। হারিসেরও এভাবে রেগে যাওয়া উচিৎ হয়নি।
তবে কয়েকজন নেটিজেনের দাবি করেছেন, ঐ সময় সমর্থককে উদ্দেশ্য করে হারিস বলেন, তুই ইন্ডিয়ান, তুই ইন্ডিয়ান। তার উত্তরে সেই ভক্ত জানান, তিনি পাকিস্তানি। তখন ফের রেগে যান হারিস। তিনি বলতে থাকেন, তোমার বাবা-মা তোমাকে কীভাবে মানুষ করেছে? কোনো শিক্ষা দেয়নি?
এদিকে এমন ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ পাওয়ার পর হারিস রউফ এক্সে লেখেন, আমি ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় আনতে চাইনি। যেহেতু ভিডিওটি প্রকাশ্যে এসেছে আমি মনে করি এ বিষয়ে কথা বলা প্রয়োজন। দেশের প্রতিনিধিত্বকারী হিসেবে আমরা জনসাধারণের কাছ থেকে সব ধরণের প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য উন্মুক্ত, তারা এর অধিকার রাখে। তবে, যখন আমার পিতামাতা এবং আমার পরিবারের কথা আসে, আমি সেই অনুযায়ী প্রতিক্রিয়া জানাতে একটুও পিছপা হব না।