ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে এক পা দক্ষিণ আফ্রিকার

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে এক পা দক্ষিণ আফ্রিকার

শেষ ১৮ বলে প্রয়োজন ২৫ রান। ক্রিজে সেট হওয়া দুই ব্যাটসম্যান হ্যারি ব্রুক ও লিভিংস্টোন। ইংল্যান্ডের জন্য সহজ সমীকরণ বলা চলে। ১৮ তম ওভারে আক্রমণে এসেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে কাঙ্ক্ষিত ব্রেকথ্রু এনে দিলেন রাবাদা। ফেরালেন ভয়ংকর হয়ে ওঠা লিভিংস্টোনকে। এরপর যেন ক্রমশই ম্যাচ থেকে ছিটকে যেতে থাকে ইংলিশরা।

শেষ ওভারে ব্রুকের দুর্দান্ত এক ক্যাচ তালুবন্দি করে কার্যত ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেন প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। 

সুপার এইটের সুপার ম্যাচে সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন সামি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৬৩ রানে থেমেছিল প্রোটিয়াদের ইনিংস। জবাবে ১৫৬ রানের বেশি করতে পারেনি ইংল্যান্ড। ৭ রানের জয়ে সেমিফাইনালে এক পা দিয়ে রাখল প্রোটিয়ারা।

এ নিয়ে চলতি বিশ্বকাপের সুপার এইটে তাদের দ্বিতীয় জয়, এ ছাড়া আসরে টানা ৬ ম্যাচে অপরাজিত মার্করাম-ডি ককরা। অন্যদিকে, সুপার এইটে ক্যারিবীয়দের হারিয়ে শুভসূচনার পর দ্বিতীয় ম্যাচে হোঁচট খেল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।  

সেন্ট লুসিয়ায় টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ঝড় তুলেছিলেন প্রোটিয়া দুই ওপেনার কুইন্টন ডি কক ও রিজা হেন্ড্রিকস। বিনা উইকেটে ৮৬ রান সংগ্রহ করেছিল তারা। একসময় মনে হচ্ছিল দুইশো ছাড়ানো পুঁজি পাবে আফ্রিকা। কিন্তু পরপর উইকেট তুলে নিয়ে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় ইংল্যান্ড। 

২৫ বলে ১৯ রান করে মঈন আলীকে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন রিজা। দুই ওভার পর ৩৮ বলে ৬৫ রান করে আর্চারের বলে বিদায় নেন ডি ককও। দারুণ এক থ্রোতে বিধ্বংসী ব্যাটার হেনরিখ ক্লাসেনকে (৮) সাজঘরে ফেরান বাটলার। এরপর ইংলিশ বোলারদের তোপের মুখে আর কেউ দাঁড়াতে পারেনি। অবশ্য শেষ দিকে ডেভিড মিলারের ২৮ বলে ৪৩ রানের ইনিংসে লড়াইয়ের পুঁজি পায় প্রোটিয়ারা। 

৬ উইকেটে ১৬৩ রানে থামে দক্ষিণ আফ্রিকা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৫ রানের ইনিংস খেলেন কুইন্টন ডি কক। এ ছাড়া ৪৩ রান করেন ডেভিড মিলার। ইংল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন জোফরা আর্চার।

একই মাঠে আগের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৮১ রান তাড়া করে জিতলেও এদিন প্রোটিয়া বোলারদের নৈপুণ্যে শুরু থেকেই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে জস বাটলাররা। স্কোরবোর্ডে মাত্র ৬১ রান যোগ করতেই টপ অর্ডারের চার ব্যাটারকে হারায় তারা। ৮ বলে ১১ রান করে ওপেনার ফিল সল্ট, ২০ বলে ১৭ রান করেন জস বাটলার। সুবিধা করতে পারেননি জনি বেয়ারস্টো ও মঈন আলীরাও। 

দ্রুত চার উইকেট পতনের পর পঞ্চম উইকেটে দলের হাল ধরেন হ্যারি ব্রুক ও লিয়াম লিভিংস্টোন। তাদের ব্যাটে জয়ের পথেই ছিল ইংল্যান্ড। ১৭তম ওভারে বার্টম্যানকে তুলোধুনো করে ২১ রান তুলে ইংল্যান্ডের জয়ের পাল্লা ভারী করেছিলেন লিভিংস্টোন ও ব্রুক। এরপর দেখেশুনে খেললেই জয় সুনিশ্চিত। তবে রাবাদার বলে লিভিংস্টোন ফিরতেই যেন ইংল্যান্ড খেই হারায়। শেষ পর্যন্ত আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।