উইন্ডিজকে কাঁদিয়ে সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা
জিতলেই নবম টি-২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে। আর হারলেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হবে। এমন কঠিন সমীকরণে সুপার এইটের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যেখানে ক্যারিবীয়দের কাঁদিয়ে শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে এইডেন মার্করামের দল।
অ্যান্টিগুয়ার নর্থ সাউন্ডে আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৫ রান সংগ্রহ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে বৃষ্টি বাধায় ডিএলএস মেথডে দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২৩ রান (১৭ ওভারে)। সেই লক্ষ্য তাড়ায় ৩ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে নোঙর করে প্রোটিয়ারা।
এই জয়ে দিয়ে গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসেবে সেমিফাইনালের টিকিট পেল দক্ষিণ আফ্রিকা। অন্যদিকে লড়াকু হারে ঘরের মাঠের বিশ্বকাপে বিদায়ঘণ্টা বাজলো ক্যারিবীয়দের।
রান তাড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন কুইন্টন ডি কক ও রেজা হেনড্রিকস। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই এ জুটি ভাঙেন রাসেল। তাতে গোল্ডেন ডাক খেয়ে সাজঘরে ফেরেন রেজা।
একই ওভারের শেষ বলে রাসেলের শট লেংথের বল বাউন্ডারির বাইরে আছড়ে ফেলতে গিয়ে রাদারফোর্ডের তালুবন্দী হন ডি কক। আউট হওয়ার আগে ৭ বলে ১২ করেন তিনি। এরপরেই বৃষ্টি নামে অ্যান্টিগুয়াতে।
বৃষ্টি থামার পর মাঠে নেমেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন এইডেন মার্করাম। তাতে অবশ্য কপালও পুড়েছে তার। আলজারি জোসেফের ওপর চড়াও হতে গিয়ে নিজের উইকেট খুইয়েছেন তিনি।
ব্যাট হাতে ঝড় তুলে প্রোটিয়াদের জয়ের পথ সহজ করেন হেনরিখ ক্লাসেন। তবে ১০ বলে ২২ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। উইকেটে এসে ব্যর্থ হয়েছেন ডেভিড মিলার। ১৪ বলে ৪ রান করেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ধীরে ধীরে ম্যাচ থেকে ছিটকে যাচ্ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত লড়াই করে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছেড়েছেন মার্কো জানসেন। ২১ অপরাজিত ছিলেন তিনি।
উইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট শিকার করেন রস্টন চেজ। এছাড়া দুটি করে উইকেট নেন আন্দ্রে রাসেল ও আলজারি জোসেফ।
এর আগে টস জিতে উইন্ডিজকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। ব্যাট হাতে বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দিয়েও মাঝারি লক্ষ্য সংগ্রহ করে তাড়া।
দলের হয়ে কাইল মেয়ার্স (৩৫) ও রস্টন চেজ (৫২) ছাড়া কেউই সেভাবে পারফর্ম করতে পারেননি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ধীরে ধীরে রানের গতি কমে যায় ক্যারিবীয়দের। স্বাগতিকদের ৬ ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ১৩৫ রানে থেমেছে স্বাগতিকরা।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট শিকার করেছেন তাবরাইজ শামসি। এছাড়া একটি করে উইকেট নিয়েছেন কাগিসো রাবাদা, মার্কো জানসেন, কেশব মহারাজ ও এইডেন মার্করাম।