এবারও হলো না উইন্ডিজের
ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ। এবার কি শিরোপা খরা কাটবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের?
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর শুরুর আগে ক্যারিবীয়দের হিসেবে রেখেছিলেন অনেকেই। কিন্তু প্রতিযোগিতার দুইবারের চ্যাম্পিয়নদের কপাল পুড়ল সুপার এইট পর্বেই।
বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আর এই ম্যাচে হারের ফলে সুপার এইট পর্ব থেকেই বিদায় নিশ্চিত হয়েছে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের।
অ্যান্টিগায় বাংলাদেশ সময় সোমবার সকালে সুপার এইট পর্বের গ্রুপ-২ এর ম্যাচটিতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৫ রান করতে পারে দলটি।
জবাব দিতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের শুরুতে বৃষ্টি হানা দেয়। ম্যাচটি নেমে আসে ১৭ ওভারে। প্রোটিয়াদের সামনে ১৭ ওভারে ১২৩ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায়। এক পর্যায়ে বেশ চাপেই ছিল দলটি। তবে শেষ পর্যন্ত ৫ বল হাতে থাকতে বৃষ্টি আইনে ৩ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে দলটি।
এই পর্বে তিন ম্যাচের তিনটিতেই জিতে টেবিলে সবার ওপরে থেকে সেমিফাইনালে উঠল দক্ষিণ আফ্রিকা। এই গ্রুপ থেকে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করা অপর দল ইংল্যান্ড।
২০১২ ও ২০১৬ আসরের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ বেশ ভালোভাবেই এগোচ্ছিল এবার। গ্রুপ পর্বে চার ম্যাচের চারটিতেই জিতেছিল দলটি। পাপুয়া নিউগিনিকে ৫ উইকেটে হারিয়ে আসর শুরু করা দলটা দ্বিতীয় ম্যাচে উগান্ডাকে হারায় ১৩৪ রানে। এরপর নিউজিল্যান্ডকে ১৩ ও আফগানিস্তানকে ১০৪ রানের বড় ব্যবধানে হারায়।
সুপার এইট পর্বের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে যায় দলটি। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রকে ৯ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে টিকে থাকে। প্রোটিয়াদের হারাতে পারলে এবং রানরেট ভালো রাখতে পারলে তারাই পেয়ে যেত সেমির টিকেট। কিন্তু রোভম্যান পাওয়েলের দল সেটা পারল কই!
ক্রিকেটে একটা সময় ক্যারিবীয়দের প্রবল প্রতাপ ছিল। সেই দিন এখন অতীত। ওয়ানডে বিশ্বকাপের প্রথম দুই আসরের চ্যাম্পিয়নরা গত বছর এই ফরম্যাটের বিশ্বকাপই খেলতে পারেনি।
তবে টি-টোয়েন্টিতে দলটা ভালো করছিল। প্রথম দল হিসেবে এই ফরম্যাটে দুইবার বিশ্বকাপ ট্রফি জিতে দলটি। কিন্তু দ্বিতীয় ও শেষ ট্রফি জয়ের ৮ বছর পার হলো, আরেকটা ট্রফি আর ঘরে এলো না তাদের।
টানা তিন আসরে ব্যর্থ দলটি। এবার তো ব্যর্থ ঘরের মাঠেই। বিশ্বকাপ যেন ক্যারিবীয়দের দুঃখগাথার অন্য নাম হয়ে দাঁড়াচ্ছে!