আফগানদের গুঁড়িয়ে প্রথমবার বিশ্বকাপ ফাইনালে দ. আফ্রিকা
এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের যাত্রাটা ছিল রূপকথার মতো। কিন্তু সেই রূপকথারই করুণ পরিণত ঘটাল অপ্রতিরোধ্য দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রতিপক্ষকে রীতিমতো গুঁড়িয়ে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ ফাইনালে পৌঁছাল দলটি।
ত্রিনিদাদে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার সকালে প্রতিযোগিতার প্রথম সেমিফাইনাল ম্যাচটি ৯ উইকেটে জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামা আফগানদের মাত্র ৫৬ রানে গুটিয়ে দিয়েছিল তারা। এরপর ম্যাচটা জিতেছে ৬৭ বল হাতে থাকতে।
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়েই দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম বিশ্বকাপ ফাইনাল এটি। এর আগে প্রোটিয়ারা ২০০৯ ও ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে খেলেছিল। কিন্তু ফাইনালের টিকিট একবারও পায়নি। এ বার বিশ্বকাপ ট্রফি জয়ের পথে আরও একধাপ এগোল দক্ষিণ আফ্রিকা।
এদিন আফগানিস্তানের টপ অর্ডার পুরোপুরি ব্যর্থ হয়। প্রথম ওভারের শেষ বলে মার্কো জানসেন শূন্য রানে ফেরান ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজকে। তৃতীয় ওভারে গুলবদিন নায়েবকে (৯) ফেরান সেই জানসেন। এরপর চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে ইব্রাহিম জাদরানকে (২) ফেরান কাগিজো রাবাদা। একই ওভারের চতুর্থ বলে মোহাম্মদ নবিকে শূন্য রানে ফেরান রাবাদা।
পাওয়ার প্লে-র মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলা আফগানিস্তান আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি। রশিদ খানের দলের হয়ে সর্বাধিক রান অজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের (১০)। প্রোটিয়াদের হয়ে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন মার্কো জানসেন ও তাবরাইজ শামসি। আর ২টি করে উইকেট নেন রাবাদা ও অনরিখ নর্কিয়া।
৫৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে হয়তো ১০ উইকেটেই জেতা হত দক্ষিণ আফ্রিকার। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারে ফজলহক ফারুকি ফেরান কুইন্টন ডি’কককে (৫)। এরপর প্রোটিয়াদের হয়ে ম্যাচ জেতানোর কাজ করেন রিজা হেনড্রিক্স (২৯*) ও অধিনায়ক এইডেন মার্কব়াম (২৩*)।