ব্রাজিলের ৭ গোল হজমের ১ দশক পূর্তি নিয়ে ফিফার পোস্ট ট্রেন্ডিংয়ে

ব্রাজিলের ৭ গোল হজমের ১ দশক পূর্তি নিয়ে ফিফার পোস্ট ট্রেন্ডিংয়ে

বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবল দলের একটি ব্রাজিল। ফুটবল খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিশ্বকাপও রয়েছে তাদের। তবে পেলে, গারিঞ্চা, রোনালদো, রোনালদিনহোর দেশের লজ্জার রেকর্ডও কম নেই। যার একটি তারা পেয়েছিল বিশ্বকাপের মঞ্চে নিজেদের ঘরের মাঠে। সেই লজ্জার রাতের এক দশক পূর্তি হয়েছে আজ।

এ উপলক্ষে ফেডারেশন অব ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (ফিফা) তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট শেয়ার করেছে। যা সোশ্যাল মাধ্যমে ট্রেন্ডিংয়ে চলে এসেছে।

এরই মধ্যে পোস্টটি সাত ঘণ্টা অতিক্রম করেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ছবি সংযুক্ত ঐ পোস্টটিতে এক লাখ ৮১ হাজার প্রতিক্রিয়া পড়েছে। শেয়ার হয়েছে ৩৮ হাজার। এছাড়া মন্তব্য করেছেন ৫১ হাজার ৭০০ জন।  

২০১৪ সালের এই দিনে ব্রাজিল ফুটবলে রচিত হয়েছিল এক কালো অধ্যায়। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে সেদিন জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল সেলেসাওরা। সেদিনই ব্রাজিলের কপালে লেগে যায় সেভেন আপের তকমা।

সেবার ঘরের মাঠে বিশ্বকাপে ব্রাজিলের আত্মবিশ্বাস ছিল তুঙ্গে। টুর্নামেন্টে তখন পর্যন্ত অপরাজিত ব্রাজিল। অপরাজিত ছিল প্রতিপক্ষ জার্মানরাও।

দুর্দান্ত এক সেমিফাইনাল আশা করেছিল ফুটবল বিশ্ব। তবে সেমি ফাইনালের আগে ব্রাজিলের আত্নবিশ্বাসে ভাটা পড়ে কোয়ার্টার ফাইনালে নেইমারের ইনজুরি আর অধিনায়ক সিলভার নিষেধাজ্ঞা।

নেইমার-সিলভার অনুপস্থিতিতেও জার্মানির বিপক্ষে স্বাগতিকরা শুরুটা করেছিল আক্রমণাত্মক। সেই আক্রমণ থেমে যায় ১১ মিনিটে থমাস মুলার গোল দিলে। সেই তো শুরু। এরপর মুলার, ক্রুস, খেদিরা ও ক্লোসারা ব্রাজিল গোলপোস্টে রীতিমতো ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। তছনছ করে দেয় ব্রাজিল রক্ষণ। ২৯ মিনিটে ম্যাচের স্কোরলাইন হয়ে যায় ৫-০। সেদিন ব্রাজিল ৬ মিনিটে হজম করেছিল ৪ গোল।

দ্বিতীয়ার্ধের ৬৯ ও ৭৯ মিনিটে আরও দুটি গোল করেন জার্মান ফরোয়ার্ড আন্দ্রে হর্স্ট স্কুরেল। ম্যাচের শেষ মিনিটে ব্রাজিলের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন অস্কার (৭-১)। কে জানতো ঘরের মাঠে টানা ৬২ ম্যাচে অপরাজিত সেলেসাওদের হজম করতে হবে ৭-১ গোলের নেক্কারজনক হার।

সেদিন বিশ্বকাপের অন্যতম ফেবারিট ব্রাজিলের সঙ্গে ঘটেছিল ফুটবল ইতিহাসের সবথেকে বিভীষিকাময় ঘটনাটি। ব্রাজিল সে ঘটনার রেশ বয়ে বেড়াচ্ছে এখনো। ব্রাজিল আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। মাঝে একবার কোপা, দুই বার অলিম্পিকে সোনা জিতেছে বটে কিন্তু পেলে-গারিঞ্চা, জিকো-সক্রেটিস, রোমারিও-রোনালদো-রিভালদোর ব্রাজিল যেন নিজেকে হারিয়ে খুঁজছে। এরপর একেকটা বিশ্বকাপ আসে, একেকটা কোপা আমেরিকা আসে; আর হতাশায় পুড়তে হয় ব্রাজিলের ফুটবলের ভক্ত-সমর্থকদের।