ইউরোর গোল্ডেন বুট জয়ের দৌড়ে যে ছয়জন
আগামী ৪ বছরের জন্য ইউরোপের রাজা হবে কারা, তা জানতে আর মাত্র এক ম্যাচের অপেক্ষা। রোববার (১৪ জুলাই) বার্লিনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের পর্দা নামছে। ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে তিনবারের চ্যাম্পিয়ন স্পেন এবং বর্তমান রানার্স আপ ইংল্যান্ড।
ফাইনালের আগে আলোচনায় এবারের ইউরোর ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে আলোকিত খেলোয়াড়রা। এবারের আসরের ফাইনালের আগে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার গোল্ডেন বুটজয়ী নির্বাচনে নতুন নীতিমালা গ্রহণ করেছে উয়েফা।
সর্বোচ্চ গোলদাতার নিয়মের পরিবর্তন আনায় এবারের ইউরোর গোল্ডেন বুট ভাগাভাগি করতে পারেন ছয়জন। এবারের ইউরোয় সর্বোচ্চ ৩ গোল করেছেন মোট ছয়জন খেলোয়াড়। তবে এদের মধ্যে চারজন এরই মধ্যে বিদায় নিয়েছেন প্রতিযোগিতা থেকে।
বাকি দুইজন মুখোমুখি হচ্ছে এবারের ফাইনালে। ইংল্যান্ডের হ্যারি কেইন এবং স্পেনের দানি ওলমোর সুযোগ থাকছে ফাইনালে গোল করে এককভাবে পুরস্কারটা বগলদাবা করতে। সেক্ষেত্রে বাড়বে তাদের দলের শিরোপা জেতার সম্ভাবনাও।
সাধারণত বিশ্বকাপ বা ইউরোর মতো প্রতিযোগিতাগুলোর সেরা খেলোয়াড়, সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার এককভাবেই দেয়া হয়ে থাকে। যদি একাধিক খেলোয়াড় সমান গোল করে থাকে, তবে দেখা হয় গোলে সহায়তা করার দিক দিয়ে এগিয়ে আছে কে।
সেক্ষেত্রেও যদি সমতা থাকে, তবে দেখা হয় তাদের মধ্যে সবচেয়ে কম সময় খেলেছে কে। সবশেষ ২০২০ ইউরো সর্বোচ্চ ৫টি করে গোল করেছিলেন পর্তুগালের ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এবং চেক প্রজাতন্ত্রের প্যাট্রিক শিক।
তবে রোনালদোর একটা অ্যাসিস্টও থাকায় তার হাতেই উঠেছিল গোল্ডেন বুট। তারও আগে ২০১২ সালের ইউরোয় সমান তিনটি করে গোল করেছিলেন স্পেনের ফার্নান্দো তোরেস, জার্মানির মারিও গোমেজ এবং রাশিয়ার অ্যালান জাগোয়েভ।
বাকি দুজনের চেয়ে কম সময় খেলায় গোল্ডেন বুট জিতেছিলেন তোরেস। তবে গোলের সঙ্গে অন্যান্য মানদণ্ড বিবেচনায় নেয়ার নিয়মটা করা হয় ২০০৮ সাল থেকে। তার আগে ইউরোয় সর্বোচ্চ সংখ্যক গোল যতজনই করতেন, তাদের প্রত্যেককেই দেয়া হতো গোল্ডেন বুট।
ইউরোর আয়োজক কর্তৃপক্ষ উয়েফা জানিয়েছে, পুরনো সেই নিয়ম এবারের ইউরোয় ফিরিয়ে আনা হয়েছে। অর্থাৎ, আজ যদি অবস্থার পরিবর্তন না হয়, তবে এই ছয়জনই ভাগাভাগি করবেন গোল্ডেন বুট।
এবারের আসরে ৩ গোল করে করা ছয়জন হলেন- ইংল্যান্ডের হ্যারি কেইন, স্পেনের দানি ওলমো, নেদারল্যান্ডসের কোডি গাকপো, জর্জিয়ার জর্জেস মিকাউতাদজে, জার্মানির জামাল মুসিয়ালা এবং স্লোভাকিয়ার ইভান শ্রাঞ্জ।
শেষ পর্যন্ত যদি ফাইনালে ওলমো বা কেইন গোল না পায় তবে নজিরবিহীন ঘটনার দেখা মিলবে। ইউরোর এক আসরে এর আগে সর্বোচ্চ পাঁচজন গোল্ডেন বুট জিতেছিলেন ১৯৬০ সালে প্রথম আসরে।
সেবার দুই ম্যাচ খেলে সর্বোচ্চ ২ গোল করেছিলেন ফ্রান্সিওস হিউত্তে (ফ্রান্স), ভ্যালেন্তিন ইভানভ (সোভিয়েত ইউনিয়ন), ভিক্টর পোনেদেলনিক (সোভিয়েত ইউনিয়ন), দ্রাজান জারকোভিচ (যুগোস্লোভিয়া) ও মিলান গালিচ (যুগোস্লোভিয়া)।
তবে ওলমো বা কেইন ছাড়াও আরো একজনের সামনে সুযোগ থাকছে গোল্ডেন বুটের লড়াইয়ে নাম লেখানোর। একটি গোল করতে পারলে জুড বেলিংহামও কেইনদের সঙ্গে গোল্ডেন বুটের ভাগাভাগিতে নাম লেখাতে পারবেন।
আর তিনি একাধিক গোল করতে পারলে তো এককভাবে জেতার সুযোগ থাকছেই। এছাড়া স্পেনের মোরাতা, উইলিয়ামস, মোরেনো এবং ইংল্যান্ডের সাকা দুই বা ততোধিক গোল করলে সুযোগ থাকবে তাদেরও।