অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল
জাতীয় দলের পাইপলাইনে থাকা ক্রিকেটারদের নিয়ে বড় পরিকল্পনা বিসিবির। তারই অংশ হিসেবে গতকাল (শনিবার) অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে দেশ ছেড়েছিল বিসিবির হাই পারফরম্যান্স ইউনিট (এইচপি)। আজ (রোববার) সকালে সিডনিতে পৌঁছেছে ক্রিকেটাররা। তবে এদিন বিশ্রামে কাটিয়ে উঠতি টাইগাররা কাল থেকে অনুশীলনে নামবে।
সেখানে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের পাশাপাশি হবে ওয়ানডে এবং চারদিনের ম্যাচও। এবারের টুর্নামেন্ট হবে ৯ দলের, খেলবে পাকিস্তানসহ বিগ ব্যাশের দল-ও। আর এই সফরে দলের সঙ্গে গিয়েছেন বিসিবির নির্বাচক হান্নান সরকার। দেশ ছাড়ার আগে গতকাল গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন মিরপুরে।
জানিয়েছেন সাদমান ইসলাম-আফিফ হোসেনদের দলে রাখার কারণও। অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনের সুযোগও নিতে চান। হান্নান বলছিলেন, ‘এভাবে বললে আসলে অনেক কিছুই চিন্তা করা যেত। আমরা যখন তিন নির্বাচক সিলেকশনে বসেছিলাম এটা নিয়ে অনেক বিস্তারিত আলাপ করি, তারপর দল তো আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। এখানে সাদমান রেগুলার ম্যাচ খেলছে কি না? সেটা আপনারা দেখবেন কতদিন গ্যাপে খেলেছে। পাশাপাশি কন্ডিশনের যে সুযোগটা সেটা আমরা নেওয়ার চেষ্টা করেছি। এ ছাড়া আফিফ কিন্তু আন্তর্জাতিক ম্যাচ থেকে দূরে রয়েছে। বিশ্বকাপের দলের সঙ্গে গিয়েছিল, কিন্তু ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়নি।’
২০০৮ সালের পর অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশের কোনো পর্যায়ের দল। যা নিয়ে হান্নান বলেন, ‘নামটা প্রথমে যখন চিন্তা করি তখনই মনে হয় অস্ট্রেলিয়া চ্যাম্পিয়ন। সে জায়গা থেকে এই ধরনের দলের প্লেয়ারের সঙ্গে খেলা এবং পাশাপাশি ওই কন্ডিশন সম্পর্কে জানাটা ভালো একটা অভিজ্ঞতা, যেটা আমাদের খেলোয়াড়রা নিতে যাচ্ছে। একটা লম্বা সময় অপেক্ষার পরে ২০০৮ সালে বাংলাদেশ দল শেষবার গিয়েছিল। আমি আশা করছি এবারের অভিজ্ঞতাটা তাদের কাজে লাগবে।’
উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ায় চারদিনের ম্যাচ দিয়ে শুরুর পর ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি খেলবে টাইগার ক্রিকেটাররা। ফলে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলে থাকা বাকিরা যাবেন পরে। অস্ট্রেলিয়া সফর শুরু হবে প্রথমে পাকিস্তান শাহীনসের বিপক্ষে চারদিনের ম্যাচ দিয়ে। এরপর ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টিও খেলবে এইচপি দল। চারদিনের ম্যাচগুলোতে নিজের লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন এইচপি অধিনায়ক মাহমুদুল হাসান জয়।
জয় বলেছেন, ‘ব্যক্তিগত লক্ষ্য অধিনায়ক হিসেবে দলে যে কম্বিনেশন আছে, তা নিয়েই সিরিজ জেতা। আমরা ছোট থেকে একসঙ্গে আছি। আমাদের অনূর্ধ্ব-১৯ এর কয়েকজন আছে। কয়েকজন আছে জাতীয় দলের। ওই হিসেব করলে আমাদের কম্বিনেশনটা খুব ভালো হবে। আমরা খুব উপভোগ করে ক্রিকেট খেলতে পারব। এটা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ সফর। ২০২৭ সালে একটা টেস্ট সিরিজ আছে, সেটার জন্যও ভালো একটা প্রস্তুতি হবে।’