স্পেনের ফুটবলে নবযুগের সূচনা
ফাইনাল ম্যাচের আগে স্পেন কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তে বলেছিলেন, ভালো ফুটবল খেললেও এখনও কিছুই অর্জন করেননি তারা। নবযুগ শুরু করতে হলে তাদের অবশ্যই শিরোপা জিতে দেখাতে হবে।
ইউরোর ফাইনালে কোচের সে কথাই যেন সার্থক প্রমাণ করে ছাড়লেন তার শিষ্যরা। নান্দনিক ফুটবলে নিজেদের তৈরি করা পরিচয় ধরে রেখে একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে গেল স্পেন। সেইসঙ্গে রক্ষণ, মাঝমাঠে খেলার নিয়ন্ত্রণ, গতির ওঠানামা- ম্যাচে যখন যা প্রয়োজন করে দেখালেন রদ্রি-অলমোরা। আর এইসব কলাকৌশলের মধ্যে হারিয়ে গেল ইংল্যান্ডের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সমস্ত প্রচেষ্টা।
বার্লিনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ২-১ ব্যবধানে জিতেছে লুইস দে লা ফুয়েন্তের শিষ্যরা। এতেই কপাল পুড়েছে টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে ওঠা ইংল্যান্ডের।
গতবার ইতালির কাছে টাইব্রেকারে হারলেও এবার নিজেদের ভুলত্রুটি সংশোধন করে দারুণ ফুটবল উপহার দিয়েছে ইংল্যান্ড। ফাইনাল ম্যাচে নিজেদের সবটুকু উজাড় করে দিয়েছে গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যরা। কিন্তু স্পেনের অসাধারণ ফুটবলের কাছে ভাগ্যের পরিহাস মেনে নিতে হয়েছে হ্যারি কেইন-বেলিংহ্যামদের।
পুরো ম্যাচজুড়ে ৬৫ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে মোট ১৬টি শট নেয় স্পেন, যার ৬টি লক্ষ্যে ছিল, ৫টি ছিল বাইরে এবং বাকি পাঁচটি শট ইংল্যান্ডের রক্ষণে প্রতিহত হয়। অপরদিকে, ৩৫ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে ৯টি শট নিলেও তার চারটি লক্ষ্যে রাখে ইংল্যান্ড; বাকি দুটি ছিল পোস্টের বাইরে।
সেমিফাইনালে একাদশের গুরুত্বপূর্ণ তিন সদস্যকে হারালেও ফাইনালে পূর্ণ শক্তি নিয়েই মাঠে নামে স্পেন। এছাড়া ইনজুরির কারণে পেদ্রি মাঠে নামতে না পারলেও তার জায়গাটি ভালোভাবে পূরণ করেছেন দানি অলমো।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করতে থাকে স্পেন, আর শরীরী ফুটবলে রক্ষণাত্মক খেলতে থাকে ইংল্যান্ড। তবে বল নিয়ে কিছুতেই ইংলিশদের ডি বক্সের সামনে যেতে পারছিল না লা রোহা। দলীয় প্রচেষ্টায় এসময় প্রায় শতভাগ বল দখলে রেখে একের পর এক চেষ্টা করতে থাকে তারা। ম্যাচের প্রথম দশ মিনিটে ৭৯ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে আক্রমণ শানানোর চেষ্টা করে স্পেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে তাদের প্রথম আক্রমণটি আসে একাদশ মিনিটে। বাঁ পাশে সতীর্থের পাস ধরে এগিয়ে গিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন নিকো উইলিয়ামস। তবে শেষ মুহুর্তে তার শট প্রতিহত করে দেন জন স্টোনস। পরে কর্নার থেকে স্পেন আরও একবার চেষ্টা করলেও সেটিও প্রতিহত করে ইংল্যান্ড।
চতুর্দশ মিনিটে উইলিয়ামসের আরও একটি ক্রস বক্সের মধ্যে যায়। তবে জায়গামতো সতীর্থদের কেউ না থাকায় সেটি ব্যর্থ হয়।
পরের মিনিটে প্রথম আক্রমণে ওঠে ইংল্যান্ড। ডান পাশ দিয়ে স্পেনের বক্সে ঢুকে গোলমুখে ক্রস দেওয়ার চেষ্টা করেন কাইল ওয়াকার। তবে কর্নারের বিনিময়ে তা প্রতিহত করেন আইমেরিক লাপোর্ত। ১৭তম মিনিটে ইংল্যান্ডের আরও দুটি জোড়া প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
১৯তম মিনিটে স্পেনের ভালো একটি সুযোগ তৈরি হওয়ার আগেই তা নষ্ট করে দেন লুক শ। পরমুহুর্তে দানি কারভাহালের উড়ন্ত শট লাফিয়ে তালুবন্দি করেন জর্ডান পিকফোর্ড।
২৩তম মিনিটে লামিন ইয়ামালের দূরের দুর্বল শট পিকফোর্ড ঠেকিয়ে দেওয়ার কয়েক সেকেন্ড পর ফের আক্রমণে ওঠেন তিনি। তবে এবার কর্নারের বিনিময়ে তা প্রতিহত করেন ইংলিশ ডিফেন্ডাররা। এর পরের মিনিটেই আক্রমণে উঠে জটলার ভেতর থেকে ঘোলা জলে মাছ শিকার করতে চায় ইংল্যান্ড। তবে দলকে বিপদমুক্ত করেন মার্ক কুকুরেইয়া।
২৫তম মিনিটে স্পেন পাল্টা আক্রমণে উঠতে গেলে মাঝমাঠে ফাবিয়ান রুইসকে বাজেভাবে ফাউল করে কার্ড দেখেন হ্যারি কেইন।
২৮তম মিনিটে ইংল্যান্ডকে চেপে ধরে গোল আদায়ের চেষ্টা করে স্পেন। তবে রুইসের শট বক্সের মধ্যে বুকায়ো সাকার পায়ে লেগে দুর্বল হয়ে গেলে তা সহজেই তালুবন্দি করেন পিকফোর্ড।
৩০তম মিনিটে ‘ওয়ান টাচে’ স্পেন দারুণ একটি আক্রমণে ওঠে, তবে একটি ভুল পাসে সে আক্রমণ নষ্ট হয়। পরের মিনিটে পাল্টা আক্রমণে উঠতে গিয়ে ডেকলান রাইসের সঙ্গে চ্যালেঞ্জে গিয়ে বাজে ফাউল করে বসেন দানি অলমো, ফলে কার্ড দেখেন তিনিও।
৩৫তম মিনিটে জোড়া কর্নারে ভালো দুটি সুযোগ তৈরি করে স্পেন। তবে দুটিই রক্ষণে কাটা পড়ে। এর পরের দুই মিনিট মুহুর্মুহু আক্রমণে ইংলিশ রক্ষণ কাঁপিয়ে দেয় স্পেন। তবে দারুণ ডিফেন্সিভ পারফরম্যান্সে সেসব প্রতিহত করে দেয় ইংল্যান্ড।
৪৩তম মিনিটে মোরাতার দৌড় লক্ষ্য করে দারণ এক বল বাড়ান রুইস। বল ধরে মোরাতা এগোলেও পরে বক্সের মধ্যে দুই ইংলিশ ডিফেন্ডার তাকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়।
৪৫তম মিনিটে স্পেনের বক্সের সামনে থেকে কারভাহালের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে সতীর্থকে পাস দেন জুড বেলিংহ্যাম, কিন্তু পরে স্প্যানিশ রক্ষেণে তা প্রতিহত হয়।
দুই মিনিট অতিরিক্ত দিলে ৩০ গজ দূর থেকে ফ্রি কিক পায় ইংল্যান্ড। তা থেকে বক্সের মধ্যে ভালো একটি ক্রসও আসে, কিন্তু বাঁ প্রান্ত থেকে ফোডেনের শট ঠেকিয়ে দেন উনাই সিমোন। এটিই প্রথমার্ধে ইংল্যান্ডের লক্ষ্যে রাখা প্রথম ও একমাত্র শট ছিল।
এরপর আর কেউ তেমন কেউ আক্রমণে না উঠলে গোলবার অক্ষত রেখেই বিরতিতে যায় দুই দল।
প্রথমার্ধে ৭০ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে পাঁচটি শট নেয় স্পেন, যার একটি লক্ষ্যে ছিল। অপরদিকে, ইংল্যান্ডের তিনটি শটের ওই একটিই ছিল লক্ষ্যে।
প্রথমার্ধের শেষের দিকে বড় দুঃসংবাদ পায় স্পেন। মাঝমাঠ থেকে ইংল্যান্ডের আক্রমণ প্রতিহত করতে গিয়ে আহত হন দলটির মাঝমাঠের প্রাণভোমরা রদ্রি। চোখের জলে মাঠ ছাড়তে দেখা যায় তাকে। বিরতির পরও তার আর মাঠে ফেরা হয়নি।
বিরতির পর রদ্রির পরিবর্তে মার্তিন জুবিমেন্দিকে খেলতে পাঠান লুইস দে লা ফুয়েন্ত। তবে মাঠে নেমেই এগিয়ে যায় স্পেন। সতীর্থের পাস ধরে বাঁ পাশ ধরে এগিয়ে গিয়ে ইংল্যান্ডের বক্সে ঢুকেই জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন নিকো উইলিয়ামস। ফলে মাঠে নামার মাত্র ৭১ সেকেন্ড পরই এগিয়ে যায় স্পেন।
পরের মিনিটে আরও একটি প্রায় একইরকম আক্রমণ শানায় দে লা ফুয়েন্তের শিষ্যরা। তবে বক্সের মাঝামাঝি জায়গা থেকে দানি অলমোর শটটি গোলপোস্টের বেশ বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়।
৫০তম মিনিটে আক্রমণে ওঠে ইংল্যান্ড। তবে অভিজ্ঞ কারভাহালের অসাধারণ দক্ষতায় সে আক্রমণ নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়।
এসময় থেকে বল দখলে রেখে গোলের সুযোগ তৈরিতে মনোযোগী হয় ইংল্যান্ড। তবে স্পেনের রক্ষণ ভেদ করতে না পেরে বারবার ব্যর্থ হচ্ছিল তারা।
৫৩তম মিনিটে দুর্দান্ত গতিতে স্পেন আক্রমণে উঠতে থাকে। তবে দলকে বাঁচাতে জুবিমেন্দিকে টেনে ধরে ফাউল করে কার্ড দেখেন স্টোনস।
গোল পেয়ে একের পর এক আক্রমণে ইংল্যান্ডকে দিশেহারা করে দেয় স্পেন।
৫৫তম মিনিটে একক প্রচেষ্টায় গোলে শট নেওয়া চেষ্টা করেন মোরাতা। তবে রক্ষণে তা কাটা পড়লে ওই মিনিটেই আরও একটি ভালো সুযোগ পান তিনি। কিন্তু সেটিও ইংলিশ রক্ষেণে প্রতিহত হয়।
পরের মিনিটেই নিকোর আরও একটি দুর্দান্ত শট কাছে পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। ৫৯তম মিনিটে স্পেনের আরও একটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
এরপর আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করে ইংল্যান্ড। তবে ফের স্প্যানিশ রক্ষণের তোপে পড়ে তারা।
এরইমধ্যে ম্যাচের এক ঘণ্টা পার হলে নিষ্প্রভ কেইনকে উঠিয়ে সেমিফাইনালের নায়ক অলি ওয়াটকিন্সকে মাঠে নামান সাউথগেট।
৬৩তম মিনিটে প্রথম সফল শট নেয় ইংল্যান্ড। প্রতিপক্ষের বক্সের বেশ বাইরে বল পেয়ে স্পেনের কয়েকজন খেলোয়াড়কে ড্রিবল করে ঘুরেই জোরালো শট নেন বেলিংহ্যাম। তবে তার সেই শট স্পেনের বাঁ পাশের পোস্টের বেশ খানিকটা বাইরে দিয়ে চলে যায়।
পরের মিনিটে একা হঠাৎ ওপরে উঠে যাওয়া ওয়াটকিন্সকে গোলমুখে উড়ন্ত ক্রস দেন এক সতীর্থ, তবে স্পেনের এক ডিফেন্ডারেই কাটা পড়েন তিনি।
৬৬তম মিনিটে দারুণ একটি গোলের সম্ভাবনা তৈরি করে স্পেন। লং পাসে হঠাৎ উঠতে থাকা লামিনকে বল বাড়ানো হয়। বল ধরেই বক্সের মধ্যে ঢুকে প্রতিপক্ষের দুই খেলোয়াড়কে ড্রিবল করে আইকনিক বাঁকানো শট নেন একদিন আগে ১৭ বছরে পদার্পণ করা লামিন। তবে ডান দিকে ঝাঁপিয়ে সেই শট কোনোমতে ঠেকিয়ে দলকে ম্যাচে ধরে রাখেন পিকফোর্ড।
এরপর মোরাতাকে উঠিয়ে মিকেল ওইয়ারসাবালকে মাঠে নামান দে লা ফুয়েন্তে। এরপর পরপর দুটি আক্রমণে যায় স্পেন। ৭০তম মিনিটে রুইসের নেওয়া দ্বিতীয় শটটি বুলেট গতিতে পোস্টের ওপর দিয়ে চলে যায়।
পরের মিনিটে টুর্নামেন্টজুড়ে দারুণ পারফর্ম করা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের তরুণ মিডফিল্ডার কোবি মাইনুকে তুলে আক্রমভাগে কোল পালমারকে নামান সাউথগেট। তিনি মাঠে নামার পরপরই দুর্দান্ত এক আক্রমণে যায় ইংল্যান্ড। তবে স্প্যানিশ রক্ষণে সেটিও প্রতিহত হয়।
৭২তম মিনিটে একক আক্রমণে উঠে শট নেন ওইয়ারসাবাল। তবে তা ঠেকিয়ে দ্রুত পাস দিলেই পাল্টা আক্রমণে গিয়ে দলকে সমতায় ফেরান কিছুক্ষণ আগে মাঠে নামা পালমার।
ইংল্যান্ড আক্রমণে উঠলেও বক্সের মধ্যে ঢুকে দিশা না পেয়ে চকিতে বক্সের বাইরে আসা পালমারকে পাস দেন বেলিংহ্যাম। ফাঁকায় থাকা পালমারের দুর্দান্ত শটটি সিমোনকে পরাস্ত করে বাঁ পাশের পোস্ট ঘেঁষে জালে জড়িয়ে যায়। ফলে দ্বিতীয়ার্ধে গোলে নেওয়া প্রথম শটেই বাজিমাৎ করে ইংল্যান্ড।
৭৮তম মিনিটে স্পেনের আরও একটি প্রচেষ্টা ছয় গজ বক্সের ভেতর থেকে প্রতিহত হয়, পরের মিনিটে আরও একটি।
৮২তম মিনিটে স্পেনের আরও একটি নিশ্চিত গোলের সুযোগ নষ্ট করে দেন পিকফোর্ড। দুর্দান্ত গতির সঙ্গে ছোট ছোট পাসে এগিয়ে গিয়ে বক্সের সামনে থেকে ভেতরে ঢোকা লামিনকে পাস দেন নিকো। তবে গোলরক্ষককে প্রায় একা পেয়েও ছয় গজ বক্সের সামনে থেকে তা গোলে রূপান্তর করতে ব্যর্থ হন লামিন।
এসময় ইংল্যান্ডকে একেবারে চেপে ধরে স্পেন। বক্সের সামনে বল নিয়ে হন্যে হয়ে গোলের সন্ধান করতে থাকে তারা।
৮৫তম মিনিটে দারুণ আরেকটি রক্ষণশৈলী দেখান পিকফোর্ড। ডান পাশ দিয়ে ঢুকে বক্সের মধ্যে লামিনের বাড়ানো পাস তিনি শূন্যে উঠে ক্লিয়ার করেন।
তবে তিন মিনিট পর আর স্পেনকে আটকে রাখতে পারে না ইংল্যান্ড। দুর্দান্ত এক পাল্টা আক্রমণে উঠে বাঁ পাশে বক্সের মধ্যে এগোনো ওইয়ারসাবালকে পাস দেন কুকুরেইয়া। পাস ধরে প্রথম ছোঁয়াতেই বল গন্তব্যে পাঠিয়ে দেন রিয়াল সোসিয়েদাদের এই ফরোয়ার্ড।
নির্ধারিত নব্বই মিনিট শেষ হওয়ার আগমুহুর্তে আবারও সমতায় ফিরেই এসেছিল ইংল্যান্ড। তবে মুহূর্তের মধ্যে ইংল্যান্ডের তিনটি দুর্দান্ত আক্রমণ অবিশ্বাস্যভাবে ঠেকিয়ে দিয়ে ব্যবধান ধরে রাখতে সমর্থ হয় স্পেন।
এরপর অতিরিক্ত চার মিনিট যোগ করা হলে মাঝমাঠেই ইংল্যান্ডের আক্রমণগুলোর বেশিরভাগ নষ্ট করে দেয় স্পেন। এরপর আর সময় না থাকায় ২-১ ব্যধানের জয় নিয়েই সবাইকে ছাড়িয়ে চতুর্থবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে তারা।
এর ফলে নতুন দিনের ফুটবল খেলে টুর্নামেন্টের সবগুলো ম্যাচ জিতে স্প্যানিশ ফুটবলের নবযুগের সূচনা করে লুইস দে লা ফুয়েন্তের শিষ্যরা।
টুর্নামেন্টজুড়ে অসাধারণ পারফর্ম করে আসরের সেরা তরুণ ফুটবলার হয়েছেন স্কুলপড়ুয়া লামিন ইয়ামাল। আর মাঝমাঠে থেকে প্রতিটি ম্যাচের রাশ নিজ হাতে ধরে রেখে টুর্নামেন্টসেরা ফুটবলার হওয়ার সম্মান অর্জন করেছেন স্পেনের মাঝমাঠের প্রাণভোমরা সহ-অধিনায়ক রদ্রি।
এতদিন তিনবার করে শিরোপা জয় করে জার্মানির সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ শিরোপার রেকর্ড ভাগ করছিল স্পেন। তবে এদিন জার্মানিকেও ছাড়িয়ে অনন্য উচ্চতায় উঠল আধুনিক ফুটবল দিয়ে নতুন যুগ শুরু করা দে লা ফুয়েন্তের শিষ্যরা।