ইতিহাসের সবচেয়ে লোভনীয় প্রস্তাব ভিনিসিয়ুসের সামনে
সবশেষ এমন প্রস্তাব পেয়েছিলেন শোহেই ওতানি। জাপানের এই বেসবল খেলোয়াড়ের খ্যাতি সারা বিশ্বেই। ২০২৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেসবল দল লস অ্যাঞ্জেলস ডজার্স তাকে নিজেদের করে নিয়েছিল ৭০০ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে। ১০ বছরে ৭০০ মিলিয়নের এই চুক্তিই বর্তমানে ক্রীড়া দুনিয়াতে সবচেয়ে দামি চুক্তি। আর ব্রাজিলিয়ান ফুটবল সুপারস্টার ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের সামনে হাজির হয়েছে সেই চুক্তি ভাঙার প্রস্তাব।
রিয়াল মাদ্রিদের এই তারকার জন্য ৫ বছরে ১ বিলিয়ন ডলারের বিশাল এই প্রস্তাব নিয়ে হাজির হয়েছে সৌদি ক্লাব আল-আহলি। শুধু ফুটবলেই না, ভিনিসিয়ুসকে আর্থিক-সামাজিক আরও বিভিন্ন দিক থেকেই লোভনীয় সব প্রস্তাবনা দিয়ে রেখেছে ক্লাবটি। একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে হলেও এরইমাঝে আল-আহলির এই প্রস্তাবে নড়েচড়ে বসেছে রিয়াল মাদ্রিদও।
বিগত কয়েক বছর ধরেই সৌদি সরকারের পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্স (পিআইএফ) এর কল্যাণে বিশ্বের নামী ফুটবলারদের ব্যাপক অর্থ দিয়ে নিজেদের লিগে টেনে নিয়েছে সৌদি আরবের ক্লাবগুলো। সরাসরি সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় চলছে এমন দলবদল। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, নেইমার জুনিয়র, এনগোলো কান্তে, রবার্তী ফিরমিনো, করিম বেনজেমা, রিয়াদ মাহরেজদের মতো নামী সব মুখ ভিড় করেছেন সৌদি লিগে।
কিন্তু এরপরেও থামছে সৌদি ক্লাবগুলো। ২০৩৪ সালে বিশ্বকাপের আয়োজক হতে যাচ্ছে দেশটি। তার আগে নিজেদের ব্র্যান্ডভ্যালু আরও বাড়িয়ে নিতে মরিয়া তারা। সেই সুবাদেই এবার হাত বাড়িয়েছে বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের দিকে। চলতি বছর মর্যাদার ব্যালন ডি’ অর পুরস্কার পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে আছেন ভিনি।
রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে কাটাচ্ছেন নিজের সেরা সময়। এমন এক তারকাকেই দলে টানতে মরিয়া আল-আহলি। সেজন্য তাকে দেয়া হয়েছে বিশাল এক প্রস্তাব। ৫ বছরের এই চুক্তিতে রিয়ালের বর্তমান বেতনের তুলনায় ১৩ গুণ বেশি বেতন দেয়া হবে ভিনি জুনিয়রকে। ক্রিশ্চিয়ান রোনালদোর সমান ২০০ মিলিয়ন ইউরো বেতন পাবেন তিনি। হবেন লিগের সর্বোচ্চ বেতনের অধিকারী।
এখানেই শেষ না। ব্রাজিলিয়ান গণমাধ্যম গ্লোবো জানিয়েছে আরও বেশকিছু লোভনীয় প্রস্তাব দেয়া হয়েছে ভিনিসিয়ুসকে। যার মধ্যে আছে
সবশেষ গত বছরই রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেছিলেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। ২০২৭ সাল পর্যন্ত মেয়াদ আছে এই চুক্তির। চলতি বছর ১৩ মিলিয়ন ইউরো বেতন হিসেবে পাবেন তিনি। পরের বছর থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত ৪৫ মিলিয়ন ইউরো বেতন পাবেন ভিনিসিয়ুস।
সৌদি ক্লাবের প্রস্তাবে এই বেতনের চেয়ে অনেকটাই বেশি অর্থ পাবেন ভিনিসিয়ুস। সঙ্গে ২০২৯ সালে নিজের ইচ্ছেমতো ক্লাবে যেতে পারবেন। সেই সময় তার বয়স হবে ২৯। যার অর্থ, চাইলেই যেকোনো ইউরোপিয়ান ক্লাবেও দেখা যাবে ভিনিসিয়ুসকে। সঙ্গে অন্যান্য প্রস্তাব তো আছেই। এমনকি ৫ বছর পর ক্লাব ছাড়লেও ভিনিসিয়ুসকে দেখা যাবে ২০৩৪ বিশ্বকাপের দূত হিসেবে।
এমন বড় অঙ্কের প্রস্তাবের বিপরীতে ভিনিসিয়ুস কী সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা। সেইসঙ্গে আল-আহলিকেও পরিশোধ করতে হবে তার রিলিজ ক্লজের ১ বিলিয়ন ইউরো। সেটা সম্ভব কি না তা অবশ্য সময়ই বলে দেবে।