পাপন এখন কোথায়, যা জানালেন সুজন
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি এবং সাবেক যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপনের খোঁজ মিলছে না। তার অবস্থানের বিষয়ে মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিসিবি পরিচালক ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ভাইস-চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজনের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল।
গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দলটির অনেক নেতা-কর্মী দেশে ছেড়েছেন। সে তালিকায় আছেন পাপনও। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৬ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সাংসদ তিনি। এছাড়া পেয়েছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রিত্বও। তার অন্য পরিচয় তিনি ক্রিকেটপ্রেমী বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি।
সরকার পরিবর্তনের ফলে সংসদ সদস্য ও মন্ত্রিত্ব হারালেও এখনো বিসিবির দায়িত্বে আছেন পাপন। কিন্তু সেখানে নেই তার উপস্থিতি। তার অবস্থান নিয়েও তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। গুঞ্জন রয়েছে, বর্তমানে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন পাপন। এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল বিসিবি পরিচালক ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ভাইস-চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজনের কাছে।
মঙ্গলবার বিধ্বস্ত আবাহনী ক্লাব দেখতে যাওয়া সুজন অবশ্য পাপনের অবস্থান নিশ্চিত করতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘না, ওনার সঙ্গে এখনো কোনো যোগাযোগ হয়নি। জানিও না উনি কোথায় আছেন, সুতরাং বলতে পারব না। যদি যোগাযোগ হয় তাহলে কথা বলতে হবে।’
এদিকে আগের দিন সুজনসহ বিসিবির বেশ কয়েকজন পরিচালক যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় তারা অনিশ্চয়তায় পড়া নারী টি-২০ বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে কথা বলেছেন।
এ বিষয়ে সুজন বলেন, ‘এখন পাপন ভাই নেই, যদিও এখনো উনি সভাপতি আছেন, যেহেতু পদত্যাগ করেননি। আসিফ মাহমুদ এসেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা। উনি সিদ্ধান্ত নেবেন। বলে দিয়েছেন কী করতে হবে। যেহেতু এটা আর আমাদের হাতে নেই, বিসিবির হাতে নেই।
এটা এখন সরকার পর্যায়ে চলে গেছে, বিশ্বকাপটা হবে কি না এটা। অনেক দেশের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, সেটা তো আর বিসিবির না। আমরা লজিস্টিক্যালি বলেছি, যে সাপোর্টটা মাঠ, লজিস্টিক যেটা আছে বিসিবি করতে পারবে, বাকিটা সরকারের ওপর যাবে।
তারা এটার সিদ্ধান্ত নেবে। উনিও আশ্বস্ত করেছেন, একটা কথা বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা উনি খুবই ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ। ওনার সঙ্গে কথা বলে দ্রুত চেষ্টা করবেন, যাতে তাড়াতাড়ি সমাধান করা যায়।’
আগামী অক্টোবরে বাংলাদেশে হওয়ার কথা নারীদের নবম টি-২০ বিশ্বকাপ আসর। ১০ দলের অংশগ্রহণে আসরের ম্যাচগুলো সিলেট ও মিরপুরে হওয়ার কথা রয়েছে। তবে নিরাপত্তা বিবেচনায় আইসিসি বাংলাদেশ থেকে টুর্নামেন্ট সরিয়ে নেয় কিনা সেটাই শঙ্কার বিষয়।