বিশ্বকাপের প্রাইজমানি পায়নি ক্রিকেটাররা, ব্যাখ্যা দিল বিসিবি
৫ই আগস্ট সরকার পতনের পরেই পালটে গিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সামগ্রিক এক চিত্র। বোর্ডের দায়িত্বে থাকা একাধিক পরিচালক এবং কর্তাব্যক্তিরাই রয়েছেন আত্মগোপনে। বিপরীতে সরব হয়েছেন দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক কারণে বঞ্চিত থাকা ক্রীড়া সংগঠকরা। সেই সুবাদেই উঠে আসছে বিসিবির গত দেড় দশকের অন্যায়-অনিয়মের অভিযোগ।
দীর্ঘ সময় নীরব থাকলেও এবারে ক্রিকেট বোর্ডের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেছেন জাতীয় দলের সাবেক-বর্তমান থেকে শুরু করে ক্রীড়া সংগঠকরাও। বিসিবি যেন এখন সমালোচনার তিরে পুরোপুরি বিদ্ধ। এরইমাঝে গেল রোববার উঠেছিল নতুন অভিযোগ। ২০২৩ সালের নভেম্বরে ভারতে হওয়া বিশ্বকাপের টাকাই এখন পর্যন্ত বুঝে পায়নি বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা।
কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল সম্প্রতি মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘ক্রিকেট অপারেশন্স এখন যেটা আছে ক্রিকেটারদের। আপনারা কি জানেন ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ হয়েছিল ভারতে। সেই ওয়ানডে বিশ্বকাপের টাকা আইসিসির সঙ্গে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের যে চুক্তি থাকে ৫০ দিনের মধ্যে টাকা দেওয়ার কথা। এটা খেলোয়াড়দের মধ্যে বণ্টন হয় সেই টাকা এখনো পর্যন্ত খেলোয়াড়দের দেওয়া হয়নি।’
তবে ক্রিকেটারদের বিশ্বকাপের প্রাইজমানি আটকে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিবি। সেই প্রাইজমানি আটকে রাখা হয়েছে দাবি করা হলেও বিসিবি জানিয়েছে, সংস্থার পক্ষ থেকে জোর করে আটকে রাখা হয়নি।
গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি জানিয়েছে, 'এই দেরি হওয়ার পেছনে বিসিবির অবহেলা নেই। আইসিসি ইভেন্টের প্রাইজমানি সাধারণত টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পাওয়া যায়। ২০২৩ নভেম্বরে শেষ হওয়া টুর্নামেন্টের ভাউচার আইসিসিকে দেওয়া হয়েছে। তবে ট্যাক্স ও সংশ্লিষ্ট কারণে টাকা দিতে দেরি হচ্ছে।'
বিসিবি দাবি করেছে, ভারতের বিখ্যাত আন্তর্জাতিক অ্যাকাউন্টিং ফার্ম ডেলয়েট হাসকিন্স অ্যান্ড সেলস এলএলপিকে পাওনা আদায়ের দায়িত্ব দিয়েছে বিসিবি। তারা ক্রিকেটারদের টাকা আদায়ের বিষয়টি দেখভাল করছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই বিসিবির হাতে ক্রিকেটারদের টাকা চলে আসতে পারে।