নাফিসা কামালের সঙ্গে সাকিবের ঘোরাঘুরি নিয়ে গুঞ্জন, যা বললেন শিশির
বুধবার রাত থেকে হঠাৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে আসেন সাকিব আল হাসান। সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের কন্যা ও বিপিএলের দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মালিক নাফিসা কামালের সঙ্গে তার কিছু ছবি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় জল্পনা।
অনেকেই মনে করছিলেন, নাফিসার সঙ্গে সাকিবের অন্য কোনো সম্পর্ক আছে। এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে সাকিবের সঙ্গে নিজের বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন তার স্ত্রী শিশির। ফেসবুকে এক দীর্ঘ স্ট্যাটাসে তিনি তাদের সম্পর্কের বর্তমান অবস্থানের কথাও জানিয়েছেন।
দীর্ঘ স্ট্যাটাসের শুরুতেই শিশিরের বক্তব্য, ‘আপনার হয়ত তার (সাকিব আল হাসান) ক্যারিয়ার এবং পছন্দ নিয়ে ব্যক্তিগত মতামত থাকতেই পারে, তা আমি অস্বীকার করব না। প্রত্যেকেরই বাক-স্বাধীনতা আছে। কিন্তু দয়া করে এটি আমাদের সম্পর্কের সঙ্গে মেশাবেন না। সে একজন অসাধারণ স্বামী এবং বাবা। সে সবসময়ই আমার প্রতি বিশ্বস্ত ও সৎ ছিল আর এমন কিছু করবে না যা আমাকে আঘাত করে।’
নিজেদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে শিশিরের মন্তব্য, ‘সে এমন মানুষ, যে আমার পাশে দাঁড়াতে গিয়ে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছিল। আমি তার বাইরে ঘোরাফেরা নিয়ে সবসময়ই জানি আর বেশিরভাগ সময় তার সঙ্গেই থাকি। ১৩ বছর আগে আমি যে মানুষটির সঙ্গে আলাপ করেছিলে, সে এখনও সেই একই মানুষ আছে। জীবনসঙ্গী হিসেবে সে ১০০ তে ১০০ পাওয়ার মতোই। আর আলহামদুলিল্লাহ আমাদের সুন্দর একটি পরিবার আছে।’
এরপরেই শিশির অনুরোধ জানিয়েছেন অনলাইনে গুঞ্জন না ছড়াতে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কিছু ছবি বা ভিডিও পুরো ঘটনা বর্ণনা করে না। শিশিরের বক্তব্য, ‘যারাই এমন করছেন, তাদের প্রতি আমি বলতে চাই এসব করে আপনি কিছুই অর্জন করতে পারবেন না।’
নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলাপ পছন্দ না উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘আমি চুপ থাকতে চাই কারণ সত্যটা আমার ভেতরেই আছে। কিন্তু কিছু অপ্রয়োজনীয় ফোনকল এবং মেসেজের কারণে আমি বিষয়টা পরিষ্কার করতে চেয়েছি। তার এখন পাকিস্তান সিরিজে নজর দেয়ার সময় আর আমি আমার পরিবারের দিকে নজর দেবো। আমরা সবসময়ই টিম হয়ে ছিলাম, আর তেমনই থাকব ইন শা আল্লাহ।’
দীর্ঘ এই স্ট্যাটাসের সঙ্গে নিজের পারিবারিক ছবিও যুক্ত করেছেন সাকিবপত্নী। সঙ্গে সংযুক্তি দিয়ে লিখেছেন ছবি মুছে দেয়ার কারণ, ‘আমি আমার কোনো পোস্ট বা ছবি ডিলেট করিনি। কেবল তা প্রাউভেট করে রেখেছি। আর ছবি বা পোস্ট কখনো কোনো সম্পর্ককে বিচার করতে পারে না।’