ঘরোয়া ফুটবল মৌসুমের দৈর্ঘ্য কমল
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৫ বছরের আমলে ক্রীড়াঙ্গন পুরোপুরি রাজনীতিকরণে ডুবে ছিল। বিভিন্ন ফেডারেশন তথা ক্লাবগুলোর কর্মকর্তাদের একটি বড় অংশ যেমন এখন লাপাত্তা। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের ফলে এবারের ঘরোয়া ফুটবল মৌসুমই তাই হুমকিতে পড়ে গেছে।
প্রিমিয়ার লিগের ১২ দলের মধ্যে কতটি ক্লাব দল বদলে অংশ নিবে, এ নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। অথচ আগামী ২২ আগস্ট শেষ হয়ে যাচ্ছে দল বদলের সীমা। এমন পরিস্থিতির মাঝে এরই মধ্যে ফুটবলের নতুন মৌসুমের দৈর্ঘ্য ছোট করে ফেলা হয়েছে।
গতকাল সোমবার বাফুফের পেশাদার লিগ ম্যানেজমেন্ট কমিটি জরুরি সভায় বসেছিল। এই সভার দিকে নজর ছিল ফুটবল সংশ্লিষ্ট সবার। তবে সভায় দল বদলের সময় বাড়ানোর বিষয়ে ইতিবাচক কোনো খবর মেলেনি। ফিফার নির্দেশনা অনুযায়ী বাফুফে তা ২২ আগস্ট পর্যন্তই রাখতে পারছে বলে জানিয়েছেন লিগ কমিটির চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান।
তবে ২০২৪-২৫ মৌসুমের জন্য ৩৬ জনের জায়গায় ক্লাবগুলো ৪০ জন খেলোয়াড় নিবন্ধন করতে পারবে। এই সংখ্যা বাড়ানোর কারণ একটাই। একাধিক ক্লাব এবার দল গঠন করবে না বলে শোনা যাচ্ছে। সেটা হলে অনেক খেলোয়াড় ক্লাবহীন হয়ে পড়বে। তাই অন্তত কিছু খেলোয়াড় যেন সুযোগ পায়, এ জন্য এই সংখ্যাটা বাড়ানো। তবে বিদেশি খেলোয়াড়ের নিবন্ধনের সর্বোচ্চ সীমা আগের মতো ৬ জনই থাকবে।
নতুন মৌসুমে ২০১৩ সালের পর আবারও সুপার কাপ ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিল বাফুফে। সুপার কাপসহ মোট ৫টি টুর্নামেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনা করেছিল দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। কিন্তু বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেটি আর হচ্ছে না।
ইমরুল হাসান জানিয়েছেন, এবার চ্যালেঞ্জ কাপ, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ও ফেডারেশন কাপ- এই তিনটি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
সুপার কাপের পাশাপাশি মৌসুমের সূচি থেকে কাটা পড়েছে স্বাধীনতা কাপ ফুটবলও। অথচ গত কয়েক বছর এই স্বাধীনতা কাপ দিয়েই মৌসুম শুরু করেছে বাফুফে।
এবার ফুটবলের নতুন মৌসুম শুরুও হবে দেরিতে। সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে মৌসুম শুরুর পরিকল্পনা থাকলেও এখন সেটা হচ্ছে না। কতটা দেরি হবে সেটি নির্দিষ্ট করে বলতে পারেনি বাফুফে।
সব মিলিয়ে দেশের ঘরোয়া ফুটবলের আকাশ এখন মেঘে ঢাকা। দিশাহীন অনেক ফুটবলার।