ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন ধাওয়ান
জাতীয় দলে নেই লম্বা সময় ধরে। তরুণ শুভমান গিলের উড়ন্ত ফর্মের কাছে জায়গা হারিয়েছিলেন। তবু ঘরোয়া আসর আর আইপিএলে শিখর ধাওয়ান নিজেকে ধরে রেখেছিলেন। এবার ক্ষান্ত দিলেন সেসব জায়গা থেকেও। দেশের হয়ে ১৪ বছর সার্ভিস দেয়ার পর সব ধরণের ক্রিকেট থেকেই অবসরে গেলেন এই ওপেনার।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ভিডিও বার্তায় নিজের অবসরের খবরটি নিশ্চিত করেছেন ধাওয়ান। ২০১০ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন ধাওয়ান। ভিডিও বার্তায় অবসরের কথা জানিয়ে শিখর বললেন, আমার ক্রিকেট-যাত্রা শেষ হল। সঙ্গে থেকে গেল অসংখ্য স্মৃতি এবং কৃতজ্ঞতা। যে ভালবাসা এবং সমর্থন পেয়েছি, তার জন্য ধন্যবাদ।
বাংলাদেশে ২০০৪ সালে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ১৫৫ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলে ক্রিকেট দুনিয়ায় নিজের কথা জানান দিলেন ভারতীয় তরুণ শিখর ধাওয়ান। পরবর্তীতে তিনিই হলেন দেশটির নির্ভরযোগ্য ওপেনার। ব্যাট হাতে ভারতের কাণ্ডারি হয়ে থাকলেন অনেকটা দিন।
লম্বা এক যাত্রায় ৩৪টি টেস্ট, ১৬৭টি ওয়ানডে ও ৬৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ১০,৮৬৭ রান করেছেন। সবশেষ ভারতের হয়ে খেলেছেন ২০২২ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে। দেশের হয়ে তিন ফরম্যাটে খেলেছেন ২৬৯টি ম্যাচ। যেখানে ২৪টি সেঞ্চুরি রয়েছে তার। এরমধ্যে ১৭টি ওয়ানডে ও ৭টি টেস্ট সেঞ্চুরি রয়েছে।
রোহিত শর্মার সঙ্গে তার জুটি ভারতকে বহু ম্যাচ জিতিয়েছে। বিশেষ করে আইসিসি প্রতিযোগিতায় রোহিত এবং ধাওয়ানের সাফল্য ছিল নজর কাড়া।
ওয়ানডে ফরম্যাটে অষ্টম ব্যাটার হিসেবে ৪০ এর বেশি গড় ও ৯০ এর বেশি স্ট্রাইক রেট নিয়ে মোট ৫ হাজার রান করেছেন ধাওয়ান। এ তালিকায় ভারতের অপর দুই ব্যাটার রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। দেশের হয়ে ২০১৩ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতেছেন।
ঘরোয়া ক্রিকেট ও আইপিএলেও বেশ সফল ধাওয়ান। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে দিল্লি ক্যাপিটালস, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, ডেকান চার্জার্স, সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ এবং পাঞ্জাব কিংসের প্রতিনিধিত্ব করেছেন ধাওয়ান। যেখানে তিনি বর্তমানে কোহলির পরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী। ১২৭ দশমিক ১৪ স্ট্রাইক রেটে ২২১ ইনিংসে তার রান ৬ হাজার ৭৬৯।