৫০০ পেরিয়ে বড় লিডের পথে বাংলাদেশ
টেস্ট ইতিহাসে ১২তম বারের মতো দলীয় ৫০০ রানের গণ্ডি পেরিয়েছে বাংলাদেশ। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে বিশাল স্কোরবোর্ডে বড় সংগ্রহ নিয়ে ম্যাচের লাগামটা নিজেদের হাতে নিতে চলেছে সফরকারীরা।
চতুর্থ দিনের চা বিরতির পর পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটে ৪৪৮ রানের জবাবে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৫১৩ রান। মুশফিকুর রহিম ৩২০ বলে ২১ চার ও এক ছক্কায় ১৮০ ও মেহেদী হাসান মিরাজ ১৩৬ বলে ৫ চারে ৬১ রানে অপরাজিত আছেন। স্বাগতিকদের চেয়ে টিম টাইগার্স ৬৫ রানে এগিয়ে রয়েছে। হাতে আছে এখনো ৪ উইকেট।
সপ্তম উইকেটে টেস্টে দেশের হয়ে রেকর্ড জুটি গড়েছেন মুশফিক ও মিরাজ। ২০১০ সালে হ্যামিল্টন টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সপ্তম উইকেট জুটিতে ১৪৫ রান যোগ করেছিলেন সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। টেস্টে এটিই এতদিন ছিল বাংলাদেশের সপ্তম উইকেটে সর্বাধিক রানের জুটি। মুশফিক ও মিরাজ সেই রেকর্ডটি ১৪ বছর পর ভেঙে দিয়ে ১৮২ রান যোগ করে অবিচ্ছিন্ন আছেন।
শনিবার ৫ উইকেটে ৩১৬ রান নিয়ে দিনের খেলা শুরু করে টিম টাইগার্স। সকালে সাবধানী, স্থির ও শান্ত মেজাজে ক্রিজে থেকে দলের স্কোরটাকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন মুশফিক ও লিটন দাস।
ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে শতাধিক রানের জুটি গড়ার পর আউট হন অর্ধশতক হাঁকানো লিটন। উইকেটরক্ষক এ ব্যাটার ৭৮ বলে ৮ চার ও এক ছক্কায় ৫৬ রানে সাজঘরে ফেরেন, ভাঙে ১১৪ রানের জুটি। নাসিম শাহর অফ স্টাম্পের বাইরের লাফিয়ে ওঠা বলে তিনি স্কয়ার ড্রাইভ করতে গিয়ে মোহাম্মদ রিজওয়ানের গ্লাভসবন্দি হন । এরপর মুশফিক-মিরাজ জুটি পাকিস্তানি বোলারদের সামনে অবিচল থেকে ব্যাটিং করছেন।
বাংলাদেশের হয়ে দেশের বাইরে সবচেয়ে বেশি টেস্ট সেঞ্চুরির রেকর্ড এখন মুশফিকের দখলে। ৬৮ ইনিংসে ৫ সেঞ্চুরি করলেন তিনি। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে তিনি তিন অংকের ঘরে পৌঁছেছেন। ৫৯ ইনিংসে ৪ সেঞ্চুরি করা তামিম ইকবালকে তিনি দুইয়ে নামিয়ে দিলেন।
রাওয়ালপিন্ডিতে ৮৯তম টেস্ট খেলতে নামা মুশফিক ১৬৪ ইনিংসে এখন ১১টি সেঞ্চুরির মালিক। ১৩৪ ইনিংসে ১০টি সেঞ্চুরি তামিমের। ১১৫ ইনিংসে ১২ সেঞ্চুরিতে সবার ওপরে মুমিনুল হক।
মুশফিক গড়েছেন আরেকটি কীর্তি। দেশের দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫ হাজার রান পূর্ণ করেছেন । তামিম ইকবালের মোট সংগ্রহ ১৫ হাজার ১৯২ রান।