ভুটানের বিপক্ষে জয় পেতে আত্মবিশ্বাসী ক্যাবরেরা
আগামী বছরে বাংলাদেশের জন্য অপেক্ষা করছে ব্যস্ত সূচি। আছে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডের খেলা। দিনক্ষণ চূড়ান্ত না হলেও আছে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি নিতে বাংলাদেশের ভরসা প্রীতি ম্যাচ।
আর তাই বাংলাদেশের কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা ভুটানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচগুলো আসন্ন টুর্নামেন্টের মঞ্চ হিসেবে মানছেন। এই প্রস্তুতি পর্ব তিনি রাঙাতে চান জয়ের রংয়ে। থিম্পুর চ্যাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় বিকাল ৬টায় প্রথম প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল।
আগামী রোববার দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচ গড়াবে একই স্টেডিয়ামে। ভুটানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সাফল্যের গল্পই বেশি। ১১ ম্যাচের পরিসংখ্যানে বাংলাদেশের জয় ৯টি, ড্র দুটি এবং হার একটি। এ অবস্থায় প্রথম প্রীতি ম্যাচ সামনে রেখে বাংলাদেশ কোচ প্রত্যয়ী কণ্ঠে বললেন, দুটি ম্যাচই জিততে থিম্পুতে পা রেখেছে তার দল।
অবশ্য ২০১৬ সালে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে ভুটানের বিপক্ষে পাওয়া সেই একমাত্র হার চরম দুঃসময়ের মুখে ঠেলে দিয়েছিল বাংলাদেশকে। আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা থেকে দেড় বছর দূরে ছিল দল। ওই ম্যাচটিও হয়েছিল ভুটানের মাঠে। এবারও খেলা সেখানেই।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে দেশটির উচ্চতা, চ্যাংলিমিথাং স্টেডিয়ামের টার্ফে খেলার সমস্যার পাশাপাশি প্রায় তিন মাস প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল থেকে দূরে থাকা, প্রস্তুতির কমতি নিয়ে কথা কম হচ্ছে না। ক্যাবরেরাও বুঝতে পারছেন অপেক্ষা করছে কঠিন চ্যালেঞ্জ। তবে সব বাধা পেরুতে দারুণ আত্মবিশ্বাসীও বাংলাদেশ কোচ।
ক্যাবরেরা বলেন, আমরা জানি, আমাদের সামনে কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। ভুটানের খেলোয়াড়দের মতো আমরা মৌসুমের মাঝামাঝি পর্যায়ে নেই। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতার সঙ্গে মানিয়ে নিতেও আমাদের সময় লেগেছে। তবে আগামী মার্চে যেটা আসছে, পরের বছরের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ রয়েছে, এগুলোর জন্য এই উইন্ডো আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। খুবই চ্যালেঞ্জিং ম্যাচ অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য।
তিনি আরো বলেন, অবশ্যই এখানে আমরা দুটো ম্যাচ জয়ের জন্য এসেছি। তবে আমাদের আগামী বছরের প্রতিযোগিতাগুলোর জন্য সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বরের উইন্ডো গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, অফিসিয়াল টুর্নামেন্টগুলোই মূল, যেগুলো আগামী মার্চে শুরু হবে এবং এ কারণে ভুটানের বিপক্ষে এই ম্যাচগুলোসহ বাকি দুই উইন্ডোকে প্রাধান্য দিচ্ছি। যেন আমরা ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে পারি।
চূড়ান্ত দলে ঠাঁই পাওয়াদের মধ্যে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী দলের চার জন আছেন। তারা হলেন- মিরাজুল ইসলাম, শাকিল আহাদ তপু, চন্দন রায় ও রাব্বী হোসেন রাহুল। এদের মধ্যে মিরাজুল ও তপু এবারই প্রথম সুযোগ পেয়েছেন। ভুটান ম্যাচ এই তরুণদের জন্য মেলে ধরার মঞ্চ বলেই মনে করেন ক্যাবরেরা।
ক্যাবরেরার ভাষায়, আপনারা জানেন, কয়েক সপ্তাহ আগে অনূর্ধ্ব-২০ দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ওই স্কোয়াডের কয়েকজন খেলোয়াড় এই দলে যোগ দিয়েছে। যাদের মধ্যে দুজন আগেও আমাদের সাথে ছিল, তারা জাতীয় দলের আবহটা জানে। নতুন দুজন যোগ হয়েছে। ফিফা উইন্ডোতে এ ধরণের প্রীতি ম্যাচ তাদের জন্য ইতিবাচক। আমি মনে করি, তাদের জন্য এটাই মেলে ধরার মঞ্চ।