খেলোয়াড়দের রাজনীতি নিয়ে যা বললেন ক্রীড়া উপদেষ্টা
ক্রিকেটারদের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে আছে অনেক আলোচনা ও সমালোচনা। ২০১৮ সালে জাতীয় দলের অধিনায়ক থাকাকালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মাশরাফি বিন মুর্তজা। রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার পরও তিনি বেশ কিছু ম্যাচ খেলেছেন। এরপর ২০২৪ সালে সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
দেশের দুই ক্রিকেটারের জাতীয় দলে খেলা অবস্থায় রাজনীতিতে যোগ দেওয়ায় অনেক সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন এই দুই ক্রিকেটার। সরকার পতনের পর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ক্রীড়া উপদেষ্টার দায়িত্ব পেয়েছেন। তিনি চান না ক্রীড়াবিদরা একই সঙ্গে রাজনীতি ও খেলা চালিয়া যাক।
ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আমার মনে হয় অবসরের পর কেউ রাজনীতিতে যোগ দিতে চাইলে দিতে পারে, তবে খেলা চালিয়ে যাওয়া অবস্থায় এমনটা করা (রাজনীতি) উচিত নয়। এসব পেশাদারিত্বের অভাবের কারণে স্বার্থের সংঘাত সৃষ্টি হয়। আমি এটা নিয়ে আগেও বলেছি।’
এছাড়া ক্রিকেটের সঙ্গে থাকা অবস্থায় রাজনীতি না করা এবং বিজ্ঞাপন এবং ব্যবসায় কোন প্রক্রিয়ায় খেলোয়াড়রা জড়াতে পারবেন না বলে ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘কিছু বিজ্ঞাপন আছে যা আইন এবং মানুষের বিপক্ষে যায়। ক্রিকেটারদের ব্যবসা নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে।’
‘এটা নিয়ে একটা নীতিমালা থাকতে হবে যে তারা কী করতে পারে বা কী না করতে পারে। ভারতের কয়েকজন ক্রিকেটারের নামে বেটিং ব্যবসার (এন্ডোর্সমেন্ট) অভিযোগ আছে, বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের নামেও আছে। তাই আমি মনে করি এটা নিয়ে একটা নীতিমালা থাকা উচিত। বিসিবি এটা ঠিক করতে পারবে।’