বোলারদের নৈপুণ্যে ইংল্যান্ডকে হারাল অস্ট্রেলিয়া
কদিন আগেই ট্রাভিস হেডের তাণ্ডব দেখেছে স্কটল্যান্ড। এবার অজি এই ব্যাটারের তাণ্ডবে নাভিশ্বাস ইংল্যান্ডের। ইংলিশদের বিপক্ষে সিরিজের আগে স্কটল্যান্ডে তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথমটিতে ২৫ বলে ৮০ রান করেছিলেন হেড। এবার তাঁর অগ্নিমূর্তি দেখল থ্রি লায়ন্সরা।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে গতকাল মাঠে নেমেছিল অস্ট্রেলিয়া। আগে ব্যাট করতে নেমে ফিল সল্টের দলের বিপক্ষে দুর্দান্ত সূচনা পায় অস্ট্রেলিয়া। ওপেনিংয়ে হেডের সঙ্গে ৮৬ রানের জুটি গড়েছিলেন ম্যাথু শর্ট। দুজন মিলে প্রথম ৬ ওভারে রান তুলেন ৮৬ যা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তৃতীয় সর্বোচ্চ।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গতকাল হেড নিজের ফিফটি পূরণ করেন ১৯ বলে। ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে সাকিব মাহমুদের বলে আউট হন তিনি, এর আগে ৮ চার আর ৪ ছয়ে খেলেছেন ২৩ বলে ৫৯ রানের ঝলমলে এক ইনিংস। হেডকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে শর্ট খেলেছেন ২৬ বলে ৪১ রানের ইনিংস।
দুই ওপেনার আউট হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার হয়ে বলার মত ইনিংস খেলেছেন কেবল হজশ ইংলিশ, তিনি করেছেন ২৭ বলে ৩৭ রান। এরপর আর কেউ হাল ধরতে না পারায় ১৯.৩ ওভারে ১৭৯ রান করে অল আউট হয় অস্ট্রেলিয়া।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারিয়েছে ইংল্যান্ড। দলীয় ১৩ রানেই আউট হন উইল জ্যাকস। জশ হ্যাজলউডের বলে ক্যাচ দিয়ে ইংলিশ এই ওপেনার ফেরার পর ইনিংস বড় করতে পারেননি জর্ডান কক্স, তিনি আউট হন ১৭ রান করে। এরপর জশ বাটলারের অনুপস্থিতিতে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা ফিল সলটও দলের হাল ধরতে ব্যর্থ হন।
১২ বলে ৪ চারে ২০ রান করে সল্ট আউট হন শট অ্যাবটের বলে। ৪৬ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেছেন লিয়াম লিভিংস্টোন। ২৭ বলে ৩৭ রান করে তিনি আউট হন হ্যাজলউডের বলে। এরপর ১৯.২ ওভারে ১৫১ রানেই অল আউট হয় স্বাগতিকরা। ২৮ রানে জিতে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া।