বাংলাদেশকে ৪৯ বল হাতে রেখে হারাল ভারত

ভারতের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে লড়াইটাও জমাতে পারেনি বাংলাদেশ। আগের ব্যাট করতে নেমে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় অল্পতেই গুটিয়ে গিয়েছিল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। পরে বাংলাদেশের দেওয়া লক্ষ্য তাড়ায় ভারত সহজ এক জয় তুলে নেয়।

গোয়ালিয়রের সিন্ধিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রবিবার (৬ অক্টোবর) বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে ভারত। বাংলাদেশের দেওয়া ১২৮ রানের লক্ষ্য তারা ছুঁয়েছে মাত্র ১১.৫ ওভারেই। অর্থাৎ ৪৯ বল হাতে রেখে জয় তুলে নিয়েছে তারা।

এই জয়ের সুবাদে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল ভারত।

টি-টোয়েন্টিতে ভারতের জন্য ১২৮ রান আসলে কিছুই নয়। ১০ ওভার পূর্ণ হওয়ার আগেই যেমন এদিন দলীয় শতক পূরণ করে ফেলে দলটি। পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারালেও তারা তুলেছিল ৭২ রান। ম্যাচটাও তাতে পুরোপুরি তাদের মুঠোতে চলে যায়।

দুই ওপেনার সঞ্জু স্যামসন ১৯ বলে ২৯ ও অভিষেক শর্মা ৭ বলে ১৬ রান করেন। তিন নম্বরে নামা সূর্যকুমার যাদব খেলেন ১৪ বলে ২৯ রানের ইনিংস।

এরপর নিতিশ কুমার ও হার্দিক পান্ডিয়া চতুর্থ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন থেকে ২৪ বলে ৫২ রান যোগ করেন। এতেই ভারতের জয় নিশ্চিত হয়। ১২তম ওভারে তাসকিনকে টানা দুটি চার ও ছক্কায় ম্যাচ শেষ করেন হার্দিক। ১৬ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। নিতিশ ১৫ বলে ১ ছক্কায় করেন অপরাজিত ১৬ রান।

বাংলাদেশের পক্ষে ১টি করে উইকেট পেয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজ ফেরান সঞ্জুকে। মোস্তাফিজ ফেরান সূর্যকুমারকে। অভিষেক রান আউট হন।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের ব্যাটাররা হতাশ করেন। লিটন দাসকে দিয়ে প্রথম ওভার থেকেই উইকেট পতনের শুরু হয়। যা রুখা যায়নি। নিয়মিত বিরতিতেই সফরকারীরা উইকেট হারিয়েছে।

কেবল মাত্র মেহেদী হাসান মিরাজ ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত কিছুটা লড়াই করেছেন। শান্ত একটি করে চার ও ছক্কায় ২৫ বলে ২৭ রান করেন। মিরাজ ৩২ বলে ৩ চারে ৩৫ রানে অপরাজিত ছিলেন।

ভারতের পক্ষে আর্শদীপ সিং ও বরুণ চক্রবর্তী সর্বাধিক ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন।

৯ অক্টোবর দিল্লিতে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ এবং ১২ অক্টোবর হায়দরাবাদে তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।