গত ১২ মাসে অনেক উন্নতি হয়েছে, বলছেন টাইগারদের কোচ
পাকিস্তানকে সাদা পোশাকে ধবলধোলাই করার সুখস্মৃতি নিয়ে ভারত সফরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে রোহিত শর্মাদের বিপক্ষে সফলতার দেখা পায়নি টাইগাররা। টেস্ট সিরিজে হারের পর রঙিন পোশাকেও সিরিজ হেরেছে লাল-সবুজের দল। সূর্যকুমার যাদবদের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুইটিতেই হেরেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এ দুই ম্যাচের কোনোটিতেই লড়াই করতে পারেনি টাইগাররা। আগামীকাল মাঠে নামবে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে। এর আগে আজ সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন ফিল্ডিং কোচ নিক পোথাস, শুনিয়েছেন অতীতের কথা।
ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের কোনোটিতেই প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে পারেনি টাইগাররা। আগামীকাল সিরিজের শেষ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে হায়দরাবাদে। এর আগে আজ সংবাদ সম্মেলনে এসে নিক পোথাস বলেন, ‘আমার মনে হয় আমরা দ্রুত ভুলে যাচ্ছি। পাকিস্তান থেকে মাত্রই পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জিতে আসলাম, যেটা আগে আমরা কখনওই করে দেখাতে পারিনি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ সুপার এইটে খেলেছে যেটা আগে ঘটেনি কখনও। নিউজিল্যান্ড সফর থেকে আমরা এসেছি সেখানে ১টি করে ম্যাচ জিতে এসেছি যেটাও আগে কখনও ঘটেনি।’
গত ১২ মাসে অনেক উন্নতি হয়েছে জানিয়ে পোথাস বলেন, ‘আমরা গতদিন কী ঘটেছে এবং আজকে কী ঘটেছে তা দেখার ব্যাপারে অনেক পারদর্শী কিন্তু গত ১২ মাসে কী ঘটেছে তা মনে করতে পারছি না। গত ১২ মাসে অনেক উন্নতি হয়েছে। এখানে কোনো ম্যাজিক বুলেট নেই। আমরা যা দেখতে পারছি তা হচ্ছে এখানে গত ১২ মাসে অনেক উন্নতি হয়েছে। ফলে সেটা মেনে নিন এবং কৃতিত্ব দিন যেখানে তার কমতি আছে।’
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সামর্থ্য কতটুকু তা সম্পর্কে বেশ ভালো ধারণা পাওয়া গেছে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচেই। দিল্লীর অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামের রানপ্রসবা উইকেটে শুরুতেই তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল ভারত। তবে ঘুরে দাঁড়িয়ে শেষ পর্যন্ত ২২১ রানের সংগ্রহ পায় স্বাগতিকরা। দুইশর বেশি রান করতে ভারতীয় ব্যাটাররা ছক্কা হাঁকিয়েছেন ১৫টি, আর চার ১৭টি। সেখানে বাংলাদেশের ব্যাটাররা চার মেরেছেন ৯টি আর ছক্কা কেবল ৫টি।
ছক্কা মারার সামর্থ্যের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে নিক পোথাস দেখিয়েছেন দুই দলের ক্রিকেটারদের ওজনের পার্থক্য। তিনি বলেন, ‘কঠিন কথা বললেন। একজন যদি ৯৫-১০০ কেজি ওজনের হয় আর আরেকজন যদি হয় ৬৫ কেজি, তাহলে একজন তো বেশি দূরে বল পাঠাবেই। অবশ্যই এখানে টাইমিং আছে, টেকনিক আছে, সব আছে। আমরা প্রতিনিয়ত কাজও করে যাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আইপিএলের দিকেও তাকাতে হবে। আইপিএল দুনিয়ার সেরা টুর্নামেন্ট। প্লেয়ারদের কোয়ালিটি মিলিয়ে দারুণ টুর্নামেন্ট। আইপিএল খেলোয়াড়দের তৈরি করে দেয় আন্তর্জাতিক মঞ্চের জন্য। ফলে এখানে আপনি পুরো ভিন্ন দুটি জিনিসের তুলনা করছেন যে ভারতের কটি ছক্কা এবং আমাদের কটি ছক্কা। এটা অনেকটা এমন হয়ে গেল, ওয়েস্ট ইন্ডিজ কটি ছক্কা মেরেছে আর আমরা কটি। তারা অনেক শক্তিশালী ক্রিকেটার। আমরা স্ট্রেংথ এবং কন্ডিশনিংয়ের দিকে উন্নতি করছি। কিন্তু জেনেটিকস নিয়ে তো আর লড়াই করতে পারবেন না।’