বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের পর যা বললেন বাংলাদেশ অধিনায়ক স্পোর্টস ডেস্ক
সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। নিজেদের প্রথম ম্যাচেই স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে দিয়েছিল বাঘিনীরা। তবে এরপরই ছন্দপতন। বাকি ম্যাচগুলোতে আর জয়ের দেখা পায়নি লাল-সবুজের দল। সবশেষ গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচেও হারতে ঘয়েছে নিগার সুলতানা জ্যতিদের।
প্রোতিয়াদের বিপক্ষে গতকাল আগে ব্যাত করে ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ করতে পারে ১০৬ রান। ছোট লক্ষ্য দক্ষিণ আফ্রিকা পেরিয়ে গেছে ১৬ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখেই। এই হারে টাইগ্রেসদের সেমিফাইনালে ওঠার আশাটুকুও শেষ হয়ে যায়।
এবারের আসরে ব্যাত হাতে খুব একটা ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশের ব্যাতিং বিভাগ। গতকাল হারের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে টাইগ্রেসদের অধিনায়ক নিগার সুলতান জ্যোতিও একই কথাই বলেছেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে শারজাহর উইকেটের পার্থক্য খুব একটা ছিল না। স্পিন সহায়ক উইকেট ছিল। স্পিনাররা ভালো করেছে। ব্যাটাররা নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি। ভেন্যু তাই কোনো কিছু নয়। দল হিসেবে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। ভেন্যুকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। এটা অজুহাত হবে।’
ব্যাতিং বিভাগের ব্যর্থতা নিয়ে জ্যোতি বলেন, ‘সমস্যাটি খুবই দৃশ্যমান যে, ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমরা ধুঁকছি। যদি পাওয়ার প্লেতে আমরা ভালো শুরু পাই, তাহলে মিডল অর্ডারে ধুঁকতে হয় না। কখনও কখনও সেভাবে শেষ করতে পারি না, যেভাবে করা উচিৎ। অনেক প্রশ্ন নিয়েই তাই আমরা যাচ্ছি। সামনের পথচলায় প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে হবে আমাদের।’
বোলারদের প্রশংসা করে জ্যোতি আরও বলেন, ‘বোলাররা ভালো করেছে, ব্যাটাররা রান করতে পারেনি। ইংল্যান্ড ১১৯ রান করেছে, আমরা সেটা তাড়া করতে পারিনি। এটা তো আমাদেরই ব্যর্থতা। এসব পর্যায়ে আসলে ক্রিকেটারদের মানসিক দিকটা আরও শক্তিশালী হওয়া উচিৎ। দল যথেষ্টই অভিজ্ঞ বলব আমি। তবে এরকম টুর্নামেন্টে এসে যদি দলীয় প্রচেষ্টা না থাকে, তাহলে সেটা ম্যাচ জেতার দিকে যায় না। দুয়েকটি ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স এত বড় পর্যায়ে এসে ম্যাচ জেতায় না।’