‘কপি-পেস্ট টুর্নামেন্ট’ বিপিএলের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন বুলবুলের
ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট বিপিএল আয়োজনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তার কথায় এটি একটি ‘কপি-পেস্ট’ টুর্নামেন্ট। বাংলাদেশের ক্রিকেটের বিকাশে যা মোটেও ভূমিকা রাখতে পারছে না।
নিজের ফেসবুক আইডিতে মঙ্গলবার বুলবুল লিখেছেন, ‘বিপিএল কেন? বিপিএল এখন আমাদের ক্রিকেটের জন্য প্রয়োজনীয় নয়, এটা আমাদের অগ্রাধিকার নয়। কেন আমরা অন্য দেশের পরিকল্পনা কপি এবং পেস্ট করি? আমরা তো ক্রিকেটের উন্নয়ন চাই, দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভালো পারফর্ম করতে চাই।’
১৯৯৯ সালে বাংলাদেশের প্রথম বিশ্বকাপ দলের অধিনায়ক একটি টিভি চ্যানেলের রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে লিখেন, ‘শেষ ১১টি বিপিএল থেকে আমরা আসলে কী অর্জন করেছি? ১০৬ কোটি টাকা হিসাব নেই (যমুনা টিভির সংবাদ অনুযায়ী)! এত বড় অঙ্কের টাকা কোথায় গেল?’
বুলবুলের পরামর্শ, ‘দয়া করে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটকে আরও আকর্ষণীয় করুন, ক্রিকেটের সামগ্রিক মান উন্নত করুন। একটা জিনিস মাথায় রাখুন—একজন টেস্ট খেলোয়াড় সব ফরম্যাটে খেলতে পারে, কিন্তু শুধুমাত্র একজন টি-২০ খেলোয়াড় আর কোনো ফরম্যাটে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করতে পারে না।’
বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরির ইতিহাস গড়া বুলবুল আরও লিখেছেন, ‘চোখ খুলুন, ভালোভাবে দেখুন—অনেক কিছুই আমাদের ক্রিকেট কাঠামো থেকে অনুপস্থিত, অথচ আমাদের দেশে বিশাল সম্ভাবনা আছে। কপি আর পেস্ট করার বদলে আমাদের নিজস্ব পথ তৈরি করার সময় এসেছে।’
ক্রিকেটকে তৃণমূলে ছড়িয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বুলবুল, ‘ক্রিকেটকে শক্তভাবে গ্রাম, উপজেলা, স্কুল, কলেজের সাথে যুক্ত করুন—ঢালিউড, বলিউড, বা হলিউডের সাথে নয়। আমাদের ক্রিকেটের শিকড় এখানেই—যেখানে আসল প্রতিভার জন্ম।’
উল্লেখ্য ২০১২ সাল থেকে বিপিএল আয়োজন করে আসছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। মূলত ভারতের আইপিএল এর আদলে এই টুর্নামেন্ট হয়ে আসছে। তবে এত বছরেও টুর্নামেন্টটি শক্ত ভিত্তি পাইনি। বরং প্রতিবারই এর মান নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
আগামী ডিসেম্বরে বিপিএলের ১১তম আসর মাঠে গড়ানোর কথা। এরই প্লেয়ার্স ড্রাফট অনুষ্ঠিত হয়েছে। দল গুছিয়ে নিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো।