সাকিববিহীন সাদা পোশাকে নতুন শুরুর অপেক্ষায় টাইগাররা

সাকিববিহীন সাদা পোশাকে নতুন শুরুর অপেক্ষায় টাইগাররা

 প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ম্যাচটি দিয়েই টেস্ট সাদা পোশাকের ক্যারিয়ারের ইতি টানার কথা ছিল সাকিব আল হাসানের, তবে নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে শেষ পর্যন্ত দেশে ফেরা হয়নি তাঁর, তাই বিদায়ী টেস্ট খেলা হচ্ছে না সাকিবের। ফলে সাকিববিহীন সাদা পোশাকে নতুন শুরুর অপেক্ষায় টাইগাররা। 

দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজকে সামনে রেখে দুই দলেরই প্রত্যাশা একটাই, আর তা হল ‘জয়’। তবে ঘরের মাঠে টেস্ট ম্যাচ গুলোতে বিগত বেশ কিছু বছর ধরে ভালো করেছে টাইগাররা। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের মত দল বাংলাদেশে এসে ধরাশায়ী হয়েছে। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, সিরিজ জেতার লক্ষ্যেই মাঠে নামবেন তারা।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পরিসংখ্যাণ কথা বলছে তাদের দিকে। এখন পর্যন্ত টেস্টে ১৪বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা। এর মধ্যে ১২টিতেই শেষ হাসি প্রোটিয়াদের। বাংলাদেশ অবশ্য দুটি ম্যাচে ড্র করেছে। দুটিই ঘরের মাঠে। ২০১৫ সালে সর্বশেষ বাংলাদেশ সফরে আসে প্রোটিয়ারা। সেবার দুই ম্যাচ সিরিজের দুটিতেই ড্র করে স্বাগতিক বাংলাদেশ। সেই সুখস্মৃতি সঙ্গী টাইগারদের। 

এই ম্যাচের ভূমিকা নিয়ে টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত জানিয়েছেন, স্পিনাররাই বড় ভূমিকা রাখবে এই টেস্টে। স্কোয়াডে থাকা চার স্পিনার তৈরি থাকছেন ম্যাচ খেলার জন্য। মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম অটোমেটিক চয়েস। হাসান মুরাদ ও নাঈম হাসানের মধ্যে লড়াইটা হতে পারে।

‘মিরপুরের উইকেট সাধারণত যেমন হয় তেমনই হচ্ছে। এরচেয়ে বেশিকিছু বলার নেই। স্পিনারদের ভূমিকা এখানে গুরুত্বপূর্ণ হবে। মুরাদের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে যে রেকর্ড তাতে ডিসার্ভ করে জাতীয় দল।’ বলেন অধিনায়ক শান্ত।

সংবাদ সম্মেলনে প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করামের কাছে প্রশ্ন যায় সাকিবকে মিস করবেন কিনা? জবাবে ৩০ বর্ষী মার্করাম বলেছেন, ‘সেভাবে মিস করবো না। তাকে মোকাবেলা করতে হবে না, এটা অবশ্যই স্বস্তির। তার অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তাদের এখনকার স্কোয়াডও অনেক শক্তিশালী, ভালো ভালো স্পিনার আছে। বিশেষ করে এই হোম কন্ডিশনে। কোনো সন্দেহ নেই, আমাদের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে।’

বাংলাদেশ স্কোয়াড-নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), সাদমান ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জয়, জাকির হাসান, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, জাকের আলী অনিক, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা, হাসান মুরাদ। 

দক্ষিণ আফ্রিকা দল : আইডেন মার্করাম (অধিনায়ক), ডেভিড বেডিংহ্যাম, ম্যাথু ব্রিটস্কি, টনি ডি জর্জি, ডেওয়াল্ড ব্রেভিস, লুঙ্গি এনগিডি, কেশভ মহারাজ, উইয়ান মুল্ডার, সেনুরান মুথুসামি, ড্যান পিটারসন, ড্যান পিয়েট, কাগিসো রাবাদা, ট্রিস্টান স্টাবস, রায়ান রিকেলটন ও কাইল ভেরেইনি।