বাফুফে নির্বাচন আজ
সকাল পেরিয়ে দুপুর এলেই অনুষ্ঠিত হবে আলোচিত বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাধারণ নির্বাচন। ২১ পদে প্রার্থী ৪৬ জন। নির্বাচনের মাধ্যমে শেষ হবে কাজী সালাউদ্দিনের দীর্ঘ ১৬ বছরের সভাপতির দায়িত্ব।
সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় দায়িত্ব বুঝে নেয়ার অপেক্ষায় ইমরুল হাসান। সভাপতি পদে তাবিথ আউয়ালের জয় সময়ের ব্যাপার। তার প্রতিদ্বন্দ্বীকে অপেক্ষাকৃত দুর্বল হিসেবে বিবেচিত দিনাজপুরের এ এফ এম মিজানুর রহমান।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বাফুফের বার্ষিক সাধারণ সভা। দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। ভোট গ্রহণ শেষে শুরু হবে গণনা।
সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি, ৪ সহ-সভাপতি ও ১৫ সদস্যের নির্বাহী কমিটি নির্বাচনের জন্য ১৩৩ জন কাউন্সিলর ভোট প্রদান করবেন। সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। ফিফা-এএফসির প্রতিনিধি নির্বাচন পর্যবেক্ষণে এসেছেন।
নির্বাচনের আগের দিন শুক্রবার দুপুরের পর থেকেই ভোটার-প্রার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের লবি। কাউন্সিলর ও নির্বাহী কমিটির কর্মকর্তাদের জন্য হোটেলে কক্ষ বরাদ্দ করেছে বাফুফে।
এবারের বাফুফে নির্বাচনে রয়েছেন কয়েকজন বিতর্কিত প্রার্থী। এদের মধ্যে রয়েছেন নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ। নারী ফুটবল সাফ চ্যাম্পিয়ন হলেও তার কিছু কর্মকাণ্ড এবং বর্তমান সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের আস্থাভাজন হওয়ায় তিনি নানামুখী চাপে রয়েছেন। চার নারী প্রার্থীর মধ্যে তাসমিয়া রেজোয়ানার স্বামী ফেডারেশনের সাবেক সেক্রেটারি আবু নাঈম সোহাগ ফিফা থেকে নিষিদ্ধ।
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক সত্যজিত দাশ রুপু ২০০৮ সাল থেকে বাফুফের নির্বাহী সদস্য। তিনিও নানা সমালোচনা ও চাপের মধ্যেও রয়েছেন।