নাটকীয়তায় ভরা ম্যাচে ফাইনালে নেপালকে পেল বাংলাদেশ
নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মাঠে নামে ভারত ও স্বাগতিক নেপাল। তবে এই ম্যাচে তৈরি হয়ে নাটকীয় পরিস্থিতি। স্বাগতিক নেপাল ও ভারতের ম্যাচের ৭১ মিনিটের খেলা তখন। এ সময় নেপালের জালে বল জড়ান ভারতের স্ট্রাইকার বালা দেবী। ভারত এ সময় গোল উদযাপনে ব্যস্ত ডাগআউটের খেলোয়াড়, কোচ ও স্টাফদের সাথে। এরপর রেফারি ওম চকির সিদ্ধান্তে শুরু হলো নানা নাটকীয়তা। এক ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ফের শুরু হলো খেলা। যেখানে নেপালকে সমতায় ফেরালেন সাবিত্রা ভাণ্ডারি। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে নিষ্পত্তি হলো ম্যাচের ভাগ্য। যেখানে টাইব্রেকারে ভারতকে ৪-২ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠে নেপাল।
৭১ মিনিটে পিছিয়ে পড়া নেপালের খেলোয়াড়রা বল নিয়ে সেন্টারে চলে যান। ভারতের খেলোয়াড়রা তখনও ডাগআউটের দিকে উদযাপনে ব্যস্ত। নেপালের খেলোয়াড়রা বল নিয়ে সেন্টারে বলে কিকের জন্য প্রস্তুত, রেফারিও খেলা শুরুর জন্য প্রস্তুত।
ভারতের খেলোয়াড়রা তখনও প্রস্তুত না হলেও রেফারি খেলা শুরু করার জন্য বাঁশি বাজান। বিক্ষিপ্তভাবে থাকা ভারতের খেলোয়াড়রা নিজেদের গোলের দিকে আসতে আসতে দূরপাল্লার শটে গোল করেন নেপালের সাবিত্রা ভান্ডারি। উদযাপনে মেতে ওঠে স্বাগতিক নেপালের পুরো স্টেডিয়াম।
এ সময় ভারতের খেলোয়াড় এবং ডাগআউটের সবাই প্রতিবাদ করা শুরু করেন। ভারতের গোলের আনন্দ তখন হতভম্বকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে যায়। এরপর খেলা শুরু হলেও মিনিটের মধ্যে খেলা বন্ধ করতে হয় রেফারিকে।
পরে দীর্ঘসময় খেলা বন্ধ থাকে। ১৩৯ মিনিটের মাথায় নেপালের গোল বাতিল করে খেলা শুরু হয়। পরের মিনিটে এবার সেই সাবিত্রা ভান্ডারিই গোল করে পুরো নেপালকে আনন্দে ভাসান। অবশ্য নেপাল লাল কার্ড দেখে ১০ জন নিয়ে খেলছিল।
নির্ধারিত সময় ১-১ সমতায় থাকায় খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানেই ৪-২ গোলে জিতে ফাইনালে নেপাল। ৩০ অক্টোবর এই মাঠে শিরোপা লড়াইয়ে স্বাগতিকদের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ। এদিকে দিনের প্রথম সেমিতে ভুটানকে ৭-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে এসে পিটার বাটলারের দল। এতে করে সবশেষ সাফের দুই ফাইনালিস্ট আবারো মুখোমুখি নারী সাফের ফাইনালে। গতবার নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ।