সুযোগ মিসের মহড়ায় মালদ্বীপের কাছে বাংলাদেশের হার
ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে আজ মালদ্বীপের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে দাপুটে ফুটবল উপহার দিলেও সুযোগ মিসের মহড়ায় হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছে লাল-সবুজরা।
বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় মালদ্বীপের কাছে দুই প্রীতি ম্যাচের প্রথমটি ১-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় স্বাগতিকরা। তবে রাকিব বলের কাছে পৌঁছার আগেই সেটি ক্লিয়ার করেন মালদ্বীপ গোলরক্ষক হুসাইন শরিফ।
ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে লক্ষ্যভ্রষ্ট হেড করেন মোরসালিন। পঞ্চম মিনিটে প্রথম কর্নার পায় বাংলাদেশ, তবে সফলতা দেখেনি স্বাগতিকরা। সপ্তম মিনিটে হলুদ কার্ড দেখেন হৃদয়।
১৩ মিনিটে কর্নার থেকে দারুণ একটি সুযোগ পায় মালদ্বীপ। মিতুল মার্মা শুরুতে বল ধরতে না পারলেও শেষ পর্যন্ত বিপদ হয়নি। পরের মিনিটে কর্নার থেকে হেড করলেও বল লক্ষ্যে রাখতে পারেননি তপু।
খেলার ধারার বিপরীতে ১৮ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে গোল হজম করে বাংলাদেশ। গোলদাতা আলী ফাসির। এরপর প্রথমার্ধের বাকি সময় আর তেমন সুযোগ পায়নি মালদ্বীপ।
তবে পুরো সময়জুড়ে একটু পরপরই সুযোগ তৈরি করেছে বাংলাদেশ। তবে ফিনিশিংয়ের ব্যর্থতায় সাফল্যের মুখ দেখেনি স্বাগতিকরা। রাকিব, মোরসালিন বা হৃদয় কেউই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি।
প্রথমার্ধের একদম শেষ দিকে সোহেল রানার শট পোস্টে লেগে ফিরলে আফসোস নিয়েই বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। বলা যায় ভালো খেলেও হতাশা নিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করেছে স্বাগতিকরা।
দ্বিতীয়ার্ধে ছিল প্রথমার্ধের অভিন্ন চিত্র। যেখানে বারবার আক্রমণে উঠেছে বাংলাদেশ। তবে বারবার ফিনিশিংয়ে ব্যর্থতাই ছিল সঙ্গী। ম্যাচে স্বাগতিকরা প্রথম অন টার্গেট শট নেয় ৭৪ মিনিটে। জনি মিয়ার সেই শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকান শরিফ।
৮৬ মিনিটে রাকিবের পাস থেকে আরো একটি সুযোগ নষ্ট করেন মোরসালিন। ২ মিনিট পর বাংলাদেশের কর্নার থেকে পাওয়া সুযোগে কাউন্টার অ্যাটাকে যায় মালদ্বীপ। এ যাত্রায় অবশ্য গোল করতে পারেনি তারা।
৭৮ মিনিটে দুর্বল একটি শট নেয়ার মিনিট পাঁচেক পর ডি বক্সের মাঝে পাওয়া দারুণ আরেকটি সুযোগ হারান মোরসালিন। এর আগে ৬০ মিনিটের মাথায় দারুণ এক সেভের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ম্যাচে টিকিয়ে রাখেন মিতুল মারমা।
ম্যাচে অতিরিক্ত সময় ছিল ৭ মিনিট। যেখানে কর্নার থেকে আরেকটি সুযোগ পায় বাংলাদেশ। রাকিবের ব্যাকহিল পোস্টের একদম কাছ ঘেঁষে গিয়ে স্বাগতিকদের আফসোসটাই শুধু বাড়িয়েছে।
শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের হার নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। পুরোটা সময়জুড়ে আক্রমণের পসরা সাজালেও তাই আফসোস নিয়েই মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা। ১৬ নভেম্বর একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচে খেলবে লাল-সবুজরা।