যে কারণে আইসিসির ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে নেই সাকিব

যে কারণে আইসিসির ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে নেই সাকিব

দেশের মাটিতে খেলে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে পারেননি সাকিব আল হাসানের। ফলে হয়তো কানপুরে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটিই হয়ে রইল সাদা জার্সিতে সাকিবের শেষ ম্যাচ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্ট খেলে বিদায় বলতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে দেশের আর ফেরা হয়নি।

সাকিব এখন শুধুমাত্র বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতেই নিজের খেলার দরজা খোলা রেখেছেন। এই ফরম্যাটে ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর ইতি টানবেন বলে জানিয়েছেন। একটা সময় তিন ফরম্যাটেই অলরাউন্ডারদের র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ছিলেন জাতীয় দলের সাবেক এ অধিনায়ক। তবে লাল বলের ক্রিকেট ও টি-টোয়েন্টি থেকে বিদায় নেওয়ায় আইসিসির র‌্যাঙ্কিংয়ের তালিকা থেকে তা সরে যায়। 

সাকিব ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর ইতি টানবেন ওয়ানডেকে বিদায় জানাবেন। কিন্তু সাম্প্রতি সময়ে ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ের তালিকায় নেই সাকিবের নাম। যার কারণে সমর্থকদের মনে তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন। অবশ্য আইসিসি সাকিবের নামটা র‌্যাঙ্কিং থেকে সরিয়েছে নিজেদের নিয়মের কারণেই। 

এক বছর কোনো ম্যাচ না খেললে নাম ওঠে না। আইসিসির তালিকা থেকে সরিয়ে ফেলা হয় নাম। বাংলাদেশের অলরাউন্ডারের সঙ্গেও তাইই ঘটেছে। ২০২৩ সালের ৬ নভেম্বরের পর থেকে দেশের জার্সিতে একদিনের ক্রিকেটে আর খেলেননি সাকিব। বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘটনাবহুল সেই ম্যাচটি ছিল সাকিবের শেষ ম্যাচ। টাইমড আউটের আলোড়ন তোলা ঘটনাও হয়েছিল সেদিন। 

আবার সাকিব ছিলেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ। এরপর বিশ্বকাপে আরও একটি ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। তবে ইনজুরির কারণে সাকিব ছিলেন মাঠের বাইরে। বিশ্বকাপ শেষে ঘরের শ্রীলঙ্কা, নিউজিল্যান্ড ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে। তবে এই তিন সিরিজের একটিতেও ছিলেন না সাকিব। তবে উদ্বেগের কিছু নেই, একটি ম্যাচ খেললেই আবারও র‌্যাঙ্কিংয়ে ঢুকে যাবেন সাকিব।