মাহমুদউল্লাহ-ফাহিমে ম্লান ইয়াসির, জয়ে শুরু বরিশালের
ইয়াসির আলির টর্নেডো ইনিংসে ভর করে বড় লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছিল দুর্বার রাজশাহী। কিন্তু পরে ইয়াসিরের সেই ইনিংসকে ম্লান করে দিয়েছেন ফরচুন বরিশালের অভিজ্ঞ ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও পাকিস্তানি অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফ। এই দুইয়ের বিস্ফোরক জুটিতে দারুণ এক জয়ে একাদশ বিপিএলে নিজেদের মিশন শুরু করেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সোমবার (৩০ এপ্রিল) প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী ম্যাচে রাজশাহীকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে বরিশাল। দলটি প্রতিপক্ষের দেওয়া ১৯৮ রানের লক্ষ্য ১১ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন দল।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৯৬ রান করে রাজশাহী। জবাবে ১১২ রানে ৬ উইকেট পতনে হারের মুখে পড়ে বরিশাল। কিন্তু সপ্তম উইকেটে ৩৫ বলে ৮৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে বরিশালকে দুর্দান্ত জয়ের স্বাদ দেন মাহমুদউল্লাহ ও ফাহিম।
২৬ বলে অপরাজিত ৫৬ রানে ইনিংসের জন্য ম্যাচ সেরা হন মাহমুদউল্লাহ। ২১ বলে ৫৪ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন ফাহিম।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ২৫ রানে ২ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে রাজশাহী। এরপর শক্ত হাতে দলের হাল ধরেন এনামুল হক বিজয় ও ইয়াসির।
বরিশালের বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুলে ১০ ওভারে দলে রান ৭৫-এ নিয়ে যান এনামুল ও ইয়াসির। ১৪তম ওভারে একশতে পৌঁছায় রাজশাহীর স্কোর।
১৫তম ওভারের শুরুতে টি-টোয়েন্টিতে ১৬তম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন খেলা এনামুল। পরের ওভারে ছক্কা মেরে ৩৪ বলে টি-টোয়েন্টিতে ১১তম অর্ধশতক পান ইয়াসির। ঐ ওভারেই জুটিতে ১’শ পূর্ণ করেন এনামুল ও ইয়াসির।
১৮তম ওভারে বরিশালের পাকিস্তানি পেসার ফাহিম আশরাফের বলে আউট হন এনামুল। রাজশাহী অধিনায়ক ৫১ বলে ৪টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৬৫ রান করেন। ইয়াসিরের সাথে তৃতীয় উইকেটে ৮৭ বলে ১৪০ রানের জুটি গড়েন তিনি।
এনামুল ফিরলেও ইনিংসের শেষ পর্যন্ত খেলে সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন ইয়াসির। কিন্তু তিনি সেঞ্চুরি থেকে ৬ রান দূরে থাকতে শেষ হয় রাজশাহীর ইনিংস।
৭টি চার ও ৮টি ছক্কায় ৪৭ বলে অপরাজিত ৯৪ রান করেন ইয়াসির। টি-টোয়েন্টিতে ইয়াসিরের সর্বোচ্চ রানের ইনিংসের উপর ভর করে ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৯৭ রানের সংগ্রহ পায় রাজশাহী।
শেষ ৭ ওভারে ৯২ রান তুলে রাজশাহী। বরিশালের পক্ষে মায়ার্স ১৩ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট।