চিটাগংকে হারিয়ে বিপিএল অভিযান শুরু খুলনার
উইলিয়াম বসিস্টো ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের পর ব্যাটে ঝড় তুলেছিলেন শামীম হোসেন পাটোয়ারীও। কিন্তু দলীয় প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে হার মানতে হয়েছে চিটাগং কিংসকে। এর ফলে জয় দিয়ে এবারের বিপিএল আসর শুরু করেছে খুলনা টাইগার্স।
মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বিতীয় দিনের প্রথম ম্যাচে চিটাগং কিংসকে ৩৭ রানে হারিয়েছে খুলনা টাইগার্স।
এদিন টস জিতে শুরুতে টাইগার্সকে ব্যাটিংয়ে পাঠান কিংস অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। প্রথমে ব্যাটিং করে ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৩ রান সংগ্রহ করে মেহেদী হাসান মিরাজের খুলনা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৭ বল বাকি থাকতে ১৬৬ রানেই গুটিয়ে যায় চিটাগংয়ের ইনিংস।
প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমেই খুলনাকে উড়ন্ত শুরু এনে দেন দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ও বসিস্টো। এরপর ৪.৩তম ওভারে ১৭ বলে ২৬ রান করে নাইম আউট হলে রান তোলার গতি কিছুটা হারিয়ে ফেলে খুলনা। দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেটে মিরাজ, ইব্রাহিম জাদরান ও আফিফ হোসেন চিটাগংয়ের বোলারদের সামনে খুব বেশি সুবিধা করতে পারেননি। এদের মাঝে মিরাজের ১৮ বলে ১৮ রানের ইনিংসটিই ছিল কেবল বলার মতো।
তবে পঞ্চম উইকেটে অঙ্কনকে সঙ্গে নিয়ে রানের ফোয়ারা ছোটান বসিস্টো। শেষ ৩৪ বলে ৮৬ রান তোলেন তারা। এর মাঝে ২২ বলে ৬টি ছক্কা ও একটি চারের সাহায্যে ৫৯ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন অঙ্কন। আর শুরু থেকেই টি-টোয়েন্টির মেজাজে ব্যাট চালিয়ে ইনিংস-সর্বোচ্চ ৭৫ রান করেন বসিস্টো। ৫০ বল মোকাবিলা করে ৩টি ছক্কা ও ৮টি চার মেরে এই রান সংগ্রহ করেন এই অস্ট্রেলিয়ান।
চিটাগংয়ের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন আলিস আল ইসলাম ও খালেদ আহমেদ।
২০৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ওশানে থমাসের বলে প্রথম ওভারেই ফিরে যান নাঈম ইসলাম। এরপর থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে চিটাগং।
১০.২ ওভারে ৭৫ রান তুলতে ৮ উইকেট হারানোর মাঝে ৫৬ রানের মাথায় পরপর তিন বলে তিন উইকেট (দুই ওভার মিলিয়ে) হারায় দলটি। নবম উইকেটজুটিতে আলিসকে সঙ্গে নিয়ে একা হাতে ব্যাট চালাতে থাকেন শামীম। ৩৮ বলে ৫টি ছক্কা ও ৭টি চার মেরে ৭৮ রান করে ১৮.১তম ওভারে তিনি যখন ফিরে যান, তখন তার দলের সংগ্রহ বেড়ে দাঁড়ায় ১৫২ রান।
পরে খালেদ আহমেদ নেমে দুটি চার ও একটি ডবল নিয়ে পরের বলেই আউট হয়ে গেলে ১৬৬ রানে থামে চিটাগং।
খুলনার ৬ বোলারের সবাই এদিন সফলতা পেয়েছেন। এর মধ্যে আবু হায়দার রনি সর্বোচ্চ চারটি এবং মোহাম্মদ নওয়াজ দুটি উইকেট নিয়েছেন।