সিলেটে তামিমকে নিয়ে বিসিবির বৈঠক, যে নতুন সিদ্ধান্ত আসছে
আকস্মিকভাবে ২০২৩ সালে জাতীয় দল থেকে অবসরের ঘোষণা দেন তামিম ইকবাল। তবে দুই দিন পার না হতেই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর অবসরের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন টাইগার এই ওপেনার। এরপর বাংলাদেশের জার্সিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি ওয়ানডে খেলে বিশ্রামে যান তিনি। পরের অংশটা বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ড ও নানা নাটকীয়তা ওয়ানডে বিশ্বকাপের স্কোয়াডে জায়গা হয়নি তামিমের।
সেই সময়ে সাকিব আল হাসানের এক ইন্টারভিউ বেশ আলোড়ন ফেলে লাল সবুজ জার্সিতে। একই সঙ্গে তামিমের দ্বন্দ্বের বিষয়টি প্রকাশ্যে এসে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা তৈরি হয়। এরপর আর কখনোই জাতীয় দলে দেখা যায়নি তামিমকে। ঘরোয়া ক্রিকেটে দেখা গেলেও জাতীয় দলে তামিমকে আর দেখা যাবে কিনা তা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি।
মাঝে একটি বছর শেষ হয়ে নতুন আরেক বছর শুরু হয়েছে, তামিমের বাংলাদেশ দলের ভবিষ্যৎ পরিষ্কার হয়নি। বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমে দিনের পর দিন ধরে যে প্রশ্ন করে এসেছে তার ফেরা না ফেরা নিয়ে। আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে ঘিরে তাকে নিয়ে নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে। সম্প্রতি একটি ভিডিওতে সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদির সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় তামিমকে। সেখানে তিনি বলেছিলেন, জাতীয় দলের অধ্যায় তার জন্য শেষ।
এ মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ক্রিকেট ভক্তদের মাঝে নতুন করে কৌতূহল তৈরি হয়েছে—তাহলে কি সত্যিই জাতীয় দলে তার ফেরার কোনো সম্ভাবনা নেই? জানা যায়, ১২ জানুয়ারির মধ্যে আইসিসির কাছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য ১৫ সদস্যের প্রাথমিক দল জমা দেবে বিসিবি। তামিম সেখানে থাকবেন কি না, তা নিয়েই চলছে আলোচনা।
এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বিসিবির প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু আজ সকালে ঢাকা থেকে সিলেটে এসেছেন। সেখানে পাঁচ তারকা এক হোটেলে তিনি তামিমের সঙ্গে আলোচনায় বসেছেন। বৈঠকে আরও ছিলেন নির্বাচক হান্নান সরকার।
২০২৩ সালের জুলাইয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করেছিলেন তামিম, যদিও পরে ফিরে আসেন। এবারও তার ফেরা নিয়ে আলোচনা চলছে। আজই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে। এদিকে, নির্বাচক কমিটি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য সাকিব আল হাসানকেও দলে রাখতে চায়। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বিসিবির উপর নির্ভর করছে। নির্বাচকরা এই বিষয়ে বোর্ডের দিকনির্দেশনার অপেক্ষায় আছেন।