বিশেষ কমিটির প্রতিবেদন দাখিল

বিদ্রোহী নারী ফুটবলাররা। ফাইল ছবি

কোচের বিরুদ্ধে ১৮ জন ফুটবলারের বিদ্রোহের জেরে নারী ফুটবলে তৈরি হয়েছে সংকট। এই সংকট নিরসনে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) একটি বিশেষ কমিটি করেছিল। ৭ সদস্যের কমিটি তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে বাফুফে সভাপতি বরাবর রিপোর্ট জমা দিয়েছে। 

বিশেষ কমিটি দুই দিন খেলোয়াড়দের সঙ্গে এবং একদিন কোচের সঙ্গে বসেছিলেন। দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে সার্বিক পর্যবেক্ষণের ওপর এখন কী করণীয়, প্রতিবেদনে সেই সুপারিশ করেছেন তারা। 

বিশেষ কমিটির চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান জানিয়েছেন, আমরা রিপোর্ট পেশ করেছি। এখন সভাপতি মহোদয় সিদ্ধান্ত নেবেন।

চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর বৈঠকে বসেছিল বিশেষ কমিটি। কমিটির একাধিক সদস্যের সঙ্গে আলাপে যা বোঝা গেছে, তাতে প্রতিবেদনে নারী ফুটবলাররা শৃঙ্খলা ভঙের দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন। ছাড় পাননি ইংলিশ কোচ পিটার বাটলারও। 

বিশেষ কমিটির তদন্তের মাঝেই বুধবার সংবাদমাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছেন বাটলার। কিছু নারী ফুটবলারের ব্যাপারে প্রকাশ্যে আপত্তি জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘হয় তারা থাকবে, না হয় আমি।’ বিশেষ কমিটির কাছেও তিনি ৭জন ফুটবলারের বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সংবাদমাধ্যমে তার বক্তব্য দেওয়ায় বিশেষ কমিটি বিব্রত। বিশেষ কমিটির একাধিক সদস্য নিশ্চিত করেছেন, কোচের বিরুদ্ধেও শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজের অভিযোগ আনা হয়েছে।

বৃহস্পতিবারই একুশে পদকের জন্য মনোনীত হয়েছে নারী ফুটবল দল। তদন্তে এই অর্জনের কারণে মেয়েরা সহমর্মিতা পেয়েছেন কি না জানতে চাইলে ইমরুল হাসান বলেছেন, ‘নারী ফুটবল দল আমাদের অনেক সাফল্য এনে দিয়েছে। এজন্য আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। তবে শৃঙ্খলার বিষয়ে সাফল্য-ব্যার্থতা কোনো প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে বলে মনে হয় না।’