চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় অল্প রানে গুটিয়ে গেল শান্ত-তামিমরা

চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় অল্প রানে গুটিয়ে গেল শান্ত-তামিমরা

ভারতের বিপক্ষে ২০ ফেব্রুয়ারির ম্যাচ দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির যাত্রা শুরু হবে বাংলাদেশের। তার আগে নিজেদের প্রস্তুতির জন্য একটি ম্যাচই খেলবে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। দুবাই অ্যাকাডেমি মাঠে আজ সেই ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান ‘এ’ দল। মূল পর্বের আগে ঘাম ঝরানো ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করতে নেমে টাইগার ব্যাটারদের ব্যর্থতার ছাপ ভালো করেই দেখা দিয়েছে। ১০ ওভারে ৬০ রান তুলতেই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে শান্তরা। এরপর সৌম্য ও মিরাজের ব্যাটে বড় রানের আভাস পেলেও তা টেনে নিতে পারেনি টাইগাররা। শেষ পর্যন্ত ২০২ রানে আলআউট হয় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থার আভাস হেড কোচ ফিল সিমন্স আগেই জানিয়েছেলেন। প্রস্তুতি নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট নয়। বিশেষ করে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ঠিক আগে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা যে টুর্নামেন্টে খেলেছেন, সে বিপিএলের প্রস্তুতিকে আদর্শ মানতে নারাজ ছিলেন কোচ। আজ অবশ্য মাঠের পারফরমেন্সে তা আরও ভালো করেই ফুটে উঠেছে।

আগে ব্যাট করতে নেমে ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। বিসিবির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৩০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৪০ রান তুলতে পেরেছে বাংলাদেশ। ক্রিজে আছেন তানজিম সাকিব (২) ও রিশাদ হোসেন (৩)। 

ওপেনার তানজিদ তামিম ৬ রান করে বোল্ড হন। নাজমুল শান্ত ১২ রান করে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। অন্য ওপেনার সৌম্য সরকার আশা দিলেও ৩৫ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। চারে ব্যাটিং করতে নেমে মেহেদী মিরাজ সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন। 

সৌম্য ও মিরাজ আউট হওয়ার পর মিডলে মুশফিকুর রহিম ও জাকের আলী হাল ধরতে ব্যর্থ হন। মুশফিক ৭ ও জাকের রানের খাতা না খুলেই সাজঘরে ফিরে যান। এরপর রিশাদ হোসেনও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ১৫ বলে ১৪ রান করে ফিরে যান। পরে তানজিম সাকিব ও নাসুমের ব্যাটে দুইশ রান পার করে বাংলাদেশ।

২৭ বলে ৩০ রান করেন তানজিম, নাসুম করেন ১৬ বলে ১৫ রান। এছাড়া তাসকিন ৭ বলে ৪ রান করেন। পাকিস্তান শাহিনসের হয়ে উসামা মীর চার উইকেট নেন। মুসা খান নেন দুই উইকেট।