তিন বছর পর দ্রুততম মানব ইসমাইল, শিরিনের শ্রেষ্ঠত্ব অব্যাহত

তিন বছর পর দ্রুততম মানব ইসমাইল, শিরিনের শ্রেষ্ঠত্ব অব্যাহত

ইংল্যান্ড প্রবাসী ইমরানুর রহমান চলমান জাতীয় অ্যাথলেটিক্সে অংশগ্রহণ করছেন না। তাই দ্রুততম মানব কে হবেন এ নিয়ে একটু বাড়তি আগ্রহ ছিল। নতুন কোনো দ্রুততম মানব পায়নি বাংলাদেশ। মোঃ ইসমাইল নিজের পুরনো মুকুট ফিরে পেয়েছেন। আর দ্রুততম মানবী শিরিন আক্তার তার শ্রেষ্ঠত্ব অব্যাহত রেখেছেন। 

পুরুষ ১০০ মিটার স্প্রিন্টে নৌবাহিনীর ইসমাইল ১০.৬১ সেকেন্ড টাইমিংয়ে প্রথম হয়েছেন। একই সংস্থার রাকিবুল হাসান মাত্র ০.০২ সেকেন্ড কম সময়ে দ্বিতীয়। যদিও বেশ কয়েক মিটার পর্যন্ত রাকিবই এগিয়ে ছিলেন। ফিনিশিং ভালো না হওয়ায় মূলত দ্রুততম মানবের তকমা হারিয়েছেন রাকিবুল। 

গত তিন আসরে ইংল্যান্ড প্রবাসী ইমরানের কাছে হারতেন নৌবাহিনীর ইসমাইল। তিন বছর পর আবার দ্রুততম মানবের খেতাব পেয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত এই স্প্রিন্টার,‘আবার দ্রুততম মানব হয়েছি ভালো লাগছে। এই জন্য আমার কোচ কাফি স্যারকে অনেক ধন্যবাদ। তিনি গত কয়েক মাস আমার জন্য অনেক পরিশ্রম করেছেন। ’কোচের পাশাপাশি তার পরিবারকেও অর্ধেক ধন্যবাদ দিয়েছেন, ‘আমার স্ত্রী হার্ডেলসের রানী তামান্না। সেও আমাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে এবং আমি বাবা হওয়ার পর তার কাছ থেকে আরো সাহায্য পেয়েছি। আমার আজকের এই অর্জনেও তাদের অবদানও ৫০ ভাগ।’

এবার ইমরান অংশগ্রহণ করেননি। এতেই মূলত ইসমাইল তার শ্রেষ্ঠত্ব ফিরে পেয়েছেন। ইমরানের সঙ্গে তার পার্থক্য নিয়ে বলেন,‘সে একটি ক্রীড়া সংস্কৃতিতে বেড়ে উঠেছে। অনুশীলন, খাবার-দাবার সব কিছুই ক্রীড়াকেন্দ্রিক। যা আমাদের এখানে অনুপস্থিত। কালচারটাই তার সাথে পার্থক্য করে দেয়।’

অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন গত বছর তিনেক প্রায় সব আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ইমরানকে পাঠিয়েছে। ইসমাইল দ্বিতীয় হয়েও অনেক জায়গায় যেতে পারেননি। এবার যেহেতু জাতীয় চ্যাম্পিয়নশীপে ১০০ মিটারে প্রথম আগামী এক বছর অন্তত আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ অনেকটাই নিশ্চিত। তবে পাঁচ বারের দ্রুততম মানব চান সাম্যতা, ‘বিগত সময়ে শুধু ইমরানকেই পাঠানো হয়েছে। আমি ১০০ মিটারে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বলব না আমাকেই সব জায়গায় পাঠানো হোক। অ্যাথলেটিক্সে ৪০ টি ইভেন্ট। যোগ্যতা-সম্ভাবনার বিচারে সবাইকে পাঠানো উচিত।’

শিরিন আক্তার ১২.০১ সেকেন্ড টাইমিংয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর দ্রুততম মানবী হওয়ার কৃত্তিত্ব অব্যাহত রেখেছেন। একই সংস্থার সুমাইয়া দেওয়ান ১২.১৫ সেকেন্ডে দ্বিতীয় হয়েছিলেন। বছর দুই আগে সুমাইয়ার কাছে শ্রেষ্টত্ব হারিয়েছিলেন শিরিন। জাতীয় ও গ্রীষ্মকালীন প্রতিযোগিতা মিলিয়ে মোট ১৬ বার দ্রুততম মানবী শিরিন। 

নারীদের ট্র্যাক এন্ড ফিল্ডে শিরিনের একচ্ছত্র প্রাধান্য। প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যেই নিজেকে সফলতার মধ্যে রাখতে চান এই দ্রুততম মানবী, ‘ট্র্রাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই পদক জিততে হয়। আমি সামনেও এই সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাই। এই সাফল্যে কোচ আব্দুল্লাহ হেল কাফীরও (সাবেক দ্রুততম মানব) ভূমিকা রয়েছে।’

শিরিন অসংখ্যবার দ্রুততম মানবী হলেও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তেমন সাফল্য নেই। এসএ গেমসে স্বর্ণ জয়ের প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমার দীর্ঘদিনের ইচ্ছে এসএ গেমসে স্বর্ণ জেতা। সেই লক্ষ্যে নিজেকে প্রস্তুত করছি। আমার বর্তমান টাইমিং থেকে আরো উন্নতি করলে এটা সম্ভব।’