ব্যাটিং ব্যর্থতার পর বোলিংয়েও হতাশা
গত বছরের আগস্ট-সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয়ের পর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাজে সময় অতিবাহিত করছে বাংলাদেশ। নতুন বছরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও সেই ধারা অব্যাহত থাকার ইঙ্গিত মিলেছে। প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে হতাশাজনক ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও ভালো করতে পারেনি নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রবিবার (২০ এপ্রিল) জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে মাঠে নামে বাংলাদেশ। এদিন টস জিতে শুরুতে ব্যাটিং করেও চরম বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ।
৬১ ওভার পর্যন্ত ব্যাটিং চালিয়ে নিয়ে গেলেও দলীয় সংগ্রহ দুইশও পার হয়নি। ১৯১ রানে গুটিয়ে যাওয়া প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ এসেছে মুমিনুল হকের ব্যাট থেকে (৫৬)। আর অধিনায়ক শান্তর ৪০ রান ছাড়া বিশোর্ধ্ব ইনিংস খেলেছেন মাত্র একজন—জাকের আলী (২৮)। এছাড়া দুই অঙ্কের আগেই থামতে হয়েছে পাঁচ ব্যাটারকে।
বাংলাদেশি ব্যাটারদের এমন ব্যর্থতার দিন অনিবার্যভাবেই ভালো করেছেন জিম্বাবুয়ের বোলাররা। রিচার্ড এনগারাভা ছাড়া বাকি চার বোলারই পেয়েছেন সাফল্যের দেখা। ভিক্টর নিয়াউচি (৪.৯) ছাড়া বাকি অন্য বোলারদের রান খরচের হার সর্বোচ্চ ২.৬০। এর মধ্যে ওয়েসলি মাধেভিরের ইকোনমি রেট একেরও কম (০.৭)। তিন ওভার বোলিং করে দুটি মেইডেন নিয়ে ২ রানে দুই উইকেট নিয়েছেন তিনি।
নিয়াউচিও পেয়েছেন দুই উইকেটের দেখা। আর ব্লেসিং মুজারাবানি ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা নিয়েছেন তিনটি করে উইকেট।
বাংলাদেশের ব্যাটাররা অল্প রানে গুটিয়ে গেলে ভাবা হচ্ছিল, এটি স্লো উইকেট হতে পারে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশি বোলাররাও সুবিধা পাবেন। কিন্তু না, টাইগারদের চারজন বোলার ১৪.১ ওভার বোলিং করলেও তাদের পাত্তাই দেননি সফরকারীদের দুই ওপেনার। এর মধ্যে ব্রায়ান বেনেট ওয়ানডে স্টাইলে ৩৭ বলে ছয়টি চারের সাহায্যে ৪০ এবং বেন কারান ৪৯ বলে ১৭ রান করে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন। পাশাপাশি অতিরিক্ত থেকে ১০ রান পাওয়ায় বিনা উইকেটে ৬৭ রান করে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস থেকে ১২৪ রান পিছিয়ে থেকে বিশ্রামে গেছেন তারা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ১৯১/১০ (মুমিনুল ৫৬, শান্ত ৪০, জাকের ২৮; মাসাকাদজা ৩/২১, মুজারাবানি ৩/৫০)।
জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংস: ৬৭/০ (১৪.১ ওভার) (বেনেট ৪০*, কারান ১৭*)।