বিসিবি থেকে ফারুকের অপসারণ অবৈধ নয় কেন, জানতে চেয়ে হাইকোর্টের রুল

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির পদ থেকে ফারুক আহমেদকে অপসারণ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের কার্যক্রম পরিচালনায় স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এই স্থিতাবস্থার আদেশে আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নেতৃত্বাধীন বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।

মঙ্গলবার (৩ জুন) বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি সাথীকা হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। চার সপ্তাহের মধ্যে যুব ও ক্রীড়া সচিব ও বিসিবিসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে ফারুক আহমেদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) পক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক এবং বিসিবির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাহিন এম রহমান। এছাড়া আমিনুল ইসলামের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী নাসির উদ্দিন আহমেদ।

আদেশের পর মো. রুহুল কুদ্দুস সাংবাদিকদের বলেন, আদালত রুল ও স্থিতাবস্থা দিয়েছেন। অর্থাৎ, বর্তমানে যারা যেভাবে দায়িত্বে আছেন, তারা সেভাবেই থাকবেন। ফলে বিসিবির বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের দায়িত্ব পালনে কোনো বাধা নেই।

গত ১ জুন বিসিবির সদ্য সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। এতে আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে পরিচালক হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। রিট নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আমিনুল ইসলামের সভাপতির দায়িত্ব পালনে স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়। রিটে যুব ও ক্রীড়া সচিব এবং বিসিবিসহ পাঁচজনকে বিবাদী করা হয়।

রিটটি দাখিলের পরদিন তা হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ কার্যতালিকা থেকে বাদ দেয়। এরপর রিটটি নতুন একটি বেঞ্চে শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হয়।

গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিসিবির সাবেক পরিচালক জালাল ইউনুস ও আহমেদ সাজ্জাদুল আলমের জায়গায় ফারুক আহমেদ ও নাজমুল আবেদীনকে পরিচালক হিসেবে মনোনয়ন দেয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। পরে পরিচালকদের ভোটে ফারুক আহমেদ সভাপতি নির্বাচিত হন।

এ বছর ২৯ মে এনএসসি ফারুক আহমেদের পরিচালক পদে মনোনয়ন বাতিল করে। পরদিন বিসিবির পরিচালক হিসেবে আমিনুল ইসলামকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।