কোহলির ক্যারিয়ারে ‘১৮’ এল নেমে

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ইতিহাসে নতুন চ্যাম্পিয়ন পাওয়া ছিল অপেক্ষা। আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে গতরাতে (৩ জুন, মঙ্গলবার) প্রথম ট্রফির খোঁজে নেমেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও পাঞ্জাব কিংস। দু-দলের কাছেই অধরা ছিল ট্রফি। ১৮তম সংস্করণ ১৮ নম্বর জার্সির কিংবদন্তি বিরাট কোহলির জন্যই। শুরু থেকে এমন স্লোগান উঠেছে। কিন্তু ঠোঁট ও চায়ের কাপের দূরত্ব মেটা অবধি ভরসা ছিল না। এতদিন মৌসুম শুরুর আগে বলতে পারলেও টুর্নামেন্টে শেষে হতাশাই ছিল বিরাট কোহলিদের। অবশেষে আরসিবি সমর্থকরা বলতে পারছেন, ই সালা কাপ নামদু।

একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে আইপিএলের শুরু থেকে একই দলের হয়ে খেলছেন যিনি, মৌসুমের পর মৌসুম ব্যাট হাতে অতিমানবীয় ধারাবাহিকতা যার, টুর্নামেন্টটির ইতিহাসের সফলতম ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি ১৮ বারের চেষ্টায় অবশেষে পেলেন শিরোপার স্বাদ, দীর্ঘ অপেক্ষা ঘুচল বেঙ্গালুরুর।

আরসিবির ব্য়াটিং দক্ষতা বরাবরই ভরসা দিয়েছে। কিন্তু বোলিং এ বারের টার্নিং পয়েন্ট। ফাইনালে বিশেষ করে বলতে হয় ক্রুনাল পান্ডিয়ার কথা। তাঁর স্পেল প্রথম টার্নিং পয়েন্ট। শেষ দিকে অভিজ্ঞ ভুবনেশ্বর কুমারের অনবদ্য বোলিং। পুরো টুর্নামেন্টেই বোলিং পারফরম্যান্স নজর কেড়েছে।

বোর্ডে ১৯০ রানের পুঁজি থাকায় আরসিবি সমর্থকরা অস্বস্তিতে ছিলেন। এই পিচে ২০০ চেজ করা সহজ। কিন্তু স্কোর বোর্ড প্রেশার এবং বোলিং আক্রমণের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। অবশেষে বিরাটের ঝুলিতে ট্রফি।

প্রীতি জিন্তার পঞ্জাব কিংসের কাছে অপেক্ষা বাড়ল। তারা যেন বলতেই পারে, আপনা টাইম আয়েগা। টুর্নামেন্টে অনবদ্য পারফর্ম করেছে পঞ্জাব কিংস। ফাইনালে কোনও এক দলকে হারতেই হত। সেই জায়গায় কিংস। তবে সব হতাশাই যেন ঢেকে গিয়েছে বিরাটের জয়ে।