দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ

দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয়টির তৃতীয় দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে শ্রীলঙ্কার ২১১ রানের বড় লিড সামনে খেলতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৩০ রানে পিছিয়ে থেকে স্কোরবোর্ডে মাত্র ৮৬ রান তুলতেই সাজঘরে ফিরেছেন ৪ টাইগার ব্যাটার।

শুক্রবার (২৭ জুন) কলম্বোর সিনহালিজ স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ডে শ্রীলঙ্কার বড় লিড সামনে রেখে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। দুই টাইগার ওপেনার জুটি বড় করতে পারেননি। ১৯ বলে ১৯ রান করে আসিথা ফারনানদোর শিকার হয়ে ডাগ আউটে ফেরেন এনামুল হক।

সঙ্গীকে হারিয়ে সাদমান ইসলামও বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি। পরের ওভারেই প্রবাথ জয়সুরিয়ার বলে কনকাসন সাবের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ২৪ বলে ১২ রান করা এই টাইগার ওপেনার। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে মুমিনুল হক ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ইনিংস বড় করতে পারেননি। মুমিনুল ১৫ ও শান্ত ১৯ রান করে লেগ বিফোর উইকেট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। বর্তমানে, মুশফিকুর রহিম ১৬ ও উইকেট কিপার ব্যাটার লিটন কুমার দাস ৫ রানে অপরাজিত থেকে প্রাথমিক ব্যাটিং বিপর্য সামলে উঠার চেষ্টা করছেন।

এর আগে টপ অর্ডারে আবারও ব্যাট হাতে ঝলক দেখালেন পাথুম নিসাঙ্কা। ২৫৪ বল মোকাবিলায় ১৯টি চারের সাহায্যে তিনি করেন ১৫৮ রান। এর আগে গলে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টেও ১৮৭ রান করেছিলেন তিনি। ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ড্র দিয়ে শেষ হয়েছিল।

নিসাঙ্কার সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ১৯৪ রানের জুটি গড়েন দীনেশ চান্দিমাল, যিনি করেন ৯৩ রান। পরে কুশল মেন্ডিসের ৮৭ বলে ৮৪ রানের ঝড়ো ইনিংস শ্রীলঙ্কার লিডকে আরও বড় করে তোলে।

দুপুরের সেশনে কয়েকটি উইকেট হারালেও পুরো ইনিংসে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল শ্রীলঙ্কার কাছেই।

বাংলাদেশের পক্ষে বাম-হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম ছিলেন একমাত্র উল্লেখযোগ্য বোলার। ৪২.৫ ওভারে ১৩১ রানে ৫টি উইকেট নিয়ে তিনি দলের হয়ে লড়াই করেন। নাইম হাসান ৩ উইকেট নিলেও ধারাবাহিকতা ছিল না। পেস আক্রমণে এবাদত হোসেন ও নাহিদ রানা দুজনই ছিলেন উইকেটশূন্য।

এর আগে টসে জিতে ব্যাটিং নেয় বাংলাদেশ। তবে বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি। শাদমান ইসলাম ৪৬ রান করেন। মেহেদি হাসান মিরাজ (৩১), তাইজুল ইসলাম (৩৩) ও লিটন দাস (৩৪) কিছু রান যোগ করলেও কেউই ইনিংস বড় করতে পারেননি।

৮০ ওভারে ২৪৭ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার আসিথা ফার্নান্দো ৩ উইকেট নেন ৫১ রানে এবং সোনাল দিনুশা ২২ রানে শিকার করেন ৩ উইকেট।

বড় লিড কাটিয়ে উঠতে এখন ব্যাট হাতে দৃঢ় প্রতিরোধ গড়ার চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের সামনে। ম্যাচে টিকে থাকতে প্রয়োজন বড় ইনিংস।